রাস্তা-ঘাটে বা চায়ের আড্ডায় কোনো কথোপকথোনের মধ্যে কেউ ইংলিশ শব্দটি বললে আমি অনুস্বর (ং) টি শুনতে পাইনা,আমি শুনি ইলিশ। ইলিশ শব্দটি আমার চেতনায় মগজে-মননে মিলে-মিশে একাকার হয়ে আছে। এতো শুধু একটি মাছের নাম নয়। এ একটি জাতীয় ঐতিহ্যের প্রতীক । সকল ‘ মাছের রাজা ’জাতীয় মাছ’। আমার ৩০ বছরের গবেষণা জীবনের পুরোটাই এ মাছকে ঘিরে রয়েছে ঘরে-বাইরে,দেশে-বিদেশে নানা খন্ড কাহিনী। তার থেকে ক’টি খন্ড চিত্র নীচে দেয়া হল।
ইলিশ এতিহ্যের প্রতীক
ইলিশ শুধু একটি মাছের নামই নয়। এটি আমাদের জাতীয় মাছ। ফ্ল্যাগ ফিশ অব বাংলাদেশ, বিশ্বমানচিত্রে একটি রাষ্ট্রের পরিচয় বহন করে। সাত সমুদ্র তের নদীর পাড়ে সুদুর ইংল্যান্ড কোন একটি মার্কেটে ইলিশ মাছ দেখতে পেয়ে আগ্রহী হয়ে কাছে গিয়ে দাম জিজ্ঞেস করতেই শপ কিপার বলে উঠলেন ‘ This fish is very tasty. Please,take this. This is from Chandipore. Do you know Chandipore? Where is Chandipore?
সে বললো, ‘ চান্দিপোর কোথায় জানিনা । তবে চান্দিপোর থেকে এ মাছটি আসে এতটুকুই জানি; বোধ করি জায়গাটি ইন্ডিয়া বা তার আশেপাশের কোনো অঞ্চলের নাম হবে।’
আমি তখন কিছুটা রাগান্বিতভাবে বললাম, তোমার জানা প্রয়োজন যে এটি একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র ’বাংলাদেশ” এর ’চান্দিপোর’ নয় । চাঁদপুর থেকে আসে। মুখে রাগের ভাব থাকলেও মনে মনে বললাম, ’এটি আমাদের অহংকার’ এটি আমাদের সে সুস্বাদু ইলিশ, এতিহ্যের প্রতীক। এখানে এরা চাঁদপুর চিনে না, বাংলাদেশ চিনে না, চিনে শুধু ইলিশ। অর্থাৎ বহির্বিশ্বে ইলিশ বাংলাদেশের পরিচয় তুলে ধরে।
ইলিশের প্রজনন সক্ষমতা পর্যবেক্ষণ-আব্বু–চাচ্চু
১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, নদী কেন্দ্র চাঁদপুরে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসাবে ইলিশ গবেষণা শুরু করি। ইলিশ গবেষণার এক পর্যায়ে আমি যখন ১৯৯৪ সালে Open Water Inland Fisheries Management wel‡q ODA (Overseas Development Administration) UK টক সাহায্য পুষ্ট একটি স্কলারশিপ নিয়ে ইংল্যান্ডের ’হাল বিশ্ববিদ্যালয়ে’ উচ্চ শিক্ষার্থে গমন করি, তখন আমার প্রথম সন্তান চার বছরের ছেলে আশিমকে দেশে রেখে যাই।
ডিগ্রির শেষ পর্যায়ে চার মাস বাকি থাকতে তাঁর আম্মুকে ও ছোট মেয়েকে (আনিকা) চার মাস বয়সে ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে গেলে আমি তাদেরকে লন্ডনের হিদ্রো এয়ারপোর্ট থেকে রিসিভ করি। আমার ছেলে আমাকে চিনতে পারে নাই। সে এক বিড়ম্বনা, অনেক চেষ্টার পর এক সপ্তাহ পরে চাচ্চু বলে ডাকতে শুরু করলে তবুও একটু স্বস্থি পাই।
অত:পর পরবর্তী সপ্তাহে অনেক বোঝানোর পর তাঁর বুঝে আসে যে, আমি হয়তো বা তাঁর বাবা হবো ! যেহেতু তারপর থেকে সবসময় আমি তাদের সংগে থাকছি। আরো প্রায় এক সপ্তাহ পর সে আমাকে আব্বু-চাচ্চু বলে ডাকে। সর্বশেষ প্রায় একমাস পর যখন সে দেখেছে যে, এ লোকটিই তাঁর মা ও তাঁর একমাত্র ছোট বোনের সাথে বসবাস করছে আর বারবার বলছে যে ‘আমি তোমার বাবা’। অতএব এ লোকটি তাঁর বাবা হতে পারে।
সাথে সাথে সে তাঁর মাকে বলেছে ”জান মা, চাচ্চু বলছে সে নাকি আমার বাবা হয়? আবার তার পরপরই আমাকেই বলছে ”তোমরা জান না, আমার বাবা তো ফোনে আছে ?” যেহেতু আমি তাঁর সাথে প্রায়ই বাংলাদেশে থাকতে ফোনে কথা বলতাম । তাই, তাঁর এ ধারণা। এভাবে সে দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যে থেকে বাবা ডেকেছে প্রায় এক থেকে দেড় মাস পরে।
পরবর্তীতে দীর্ঘদিন যাবৎ আমি রাত জেগে যখন থিসিস লিখেছি বা কোনো কাজ করেছি । সে আমার টেবিলের নীচে পায়ের কাছে শরীরটাকে কুন্ডুলী পাকিয়ে শুয়ে থেকেছে । আবার যেন তাঁর বাবা হারিয়ে না যায়।
ইলিশের বাবা
আনিকা আমার ছোট মেয়ে যাকে আমি চার মাস বয়সে (১৯৯৫ সালে) লন্ডনের হিদ্রো বিমান বন্দরে রিসিভ করি। বর্তমানে সে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি পড়ছে। সেপ্টেম্বর ২০১৭ এর শুরুতে যখন তাদের ঢাকাতে রেখে চাঁদপুর আমার কর্মস্থল ইলিশ গবেষণা স্থলে আসি তখনই সে বলেছে ,‘ তুমিতো আমাদের কথা এমনিতে ভুলে যাও আর এবারতো আরো ভুলে যাবে। কেননা ১ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষেধাজ্ঞা কার্যক্রম চলবে । আর তুমি তার পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম চালাবে।
এবার তুমি চাঁদপুর গিয়েই চলে যাবে সোজা হাতিয়া-ভোলা-মনপুরা অঞ্চলে যেখানে প্রসুতি ইলিশের আঁতুড় ঘর। ইলিশ যেখানে ডিম পাড়ে ও বাচ্চাদের আগলে রেখে বড় করে তোলে। ৫ অক্টোবর আশ্বিনের বড় পূর্ণিমা ইলিশের ডিম ছাড়ার মোক্ষম সময়– আমি ভালো করেই এতদিনে জেনেছি ইলিশ ডিম ছাড়ার ঠিক অন্তত: ১০ দিন পূর্বে তুমি সেখানে গিয়ে উপস্থিত থাকবে।
অথচ তুমি আমার জন্মের ছয় মাস পরও আমার নিকট আসনি। বরং আমি প্রায় ছয় মাস পরে বলতে গেলে লন্ডনের হিদ্রো বিমান বন্দরে মায়ের কোলে চড়ে গিয়ে সেখানে তোমার সাথে দেখা করেছি। সেখানে বড় ভাইয়া (আশিমুর) তোমাকে চাচ্চু ডাকলে তার আর দোষ কি? তুমি তো আমাদের বাবা নও । তুমিতো ইলিশের বাবা।’
বরং আমাদের চেয়ে ইলিশের প্রতি তোমার দরদ বেশি। এতদিনে এও জেনেছি যে তোমাকে অনেকে ইলিশের জনক বা বাবা বলে ডাকে– না! আজ তোমাকে মোটেই দোষী সাব্যস্ত করছি না বা কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছি না। এখন বরং বড় হয়েছি। ছোট অবস্থায় তোমার প্রতি অভিমানই প্রকাশ করে গিয়েছি।
কিন্তু তোমাকে নিয়ে আজ গর্ব করতে চাই। তুমি আমাদেরকে (তোমার সন্তানদেরকে) নয়। ইলিশকে ভালোবেসে গবেষণায় মনোযোগী হয়ে এদেশের ষোল কোটি মানুষের ভালোবাসা পাওয়ার মতো একটি উঁচু জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছো । আর কেউ না জানুক আমরা জানি ‘তুমি সে চেষ্টা অকপটে করে যাচ্ছো’ চালিয়ে যাও আমরণ – We admire you.’
আরও কিছু স্মৃতি ও শেষ কথা
ইলিশ গবেষণা জীবনের শুরুতে এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে আমার সাথে অনেকেই থেকেছিলেন, আবার অনেক প্রতিকূলতায় অনেকেই চলে গিয়েছেন। আবার থাকলেও একাধিক্রমে ত্রিশ বছর বা দীর্ঘ সময়ব্যাপি আমার সাথে থাকেন নি কেউই বা জীবিকার তাদিগে বিভিন্ন পেশায় চলে গিয়েছেন।
কেননা তখন এখনকার মত এমন মোবাইলের সুবিধা ছিল না। ৪৮ ফিটের মত লম্বায়, ৪৫ ঘড়ায় চালিত একটি সাধারণ কাঠের বোট, সাথে ছোট্ট একটি স্পীড বোট নিয়ে ১০-১২ সদস্যের একটি ইলিশ গবেষণা দল নিয়ে সমস্ত ঝড় ঝঞ্ঝা ও বৈরী আবহাওয়া মাথায় নিয়ে পরিবার-পরিজন থেকে প্রায় ২৪-২৬ দিন সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন থাকতে হতো।
যেমন ২০০৯ সালে মে মাসের শেষ ভাগে ”আইলা” ঝড়ে ভোলার উত্তর মাথার একটি অঞ্চল ইলিশা-বঙ্গের চরে গবেষণারত অবস্থায় ১০ নাম্বার সিগনালে আটকে পড়ে থাকলাম। প্রায় দু’দিনব্যাপি একটি দুর্বিসহ একটি ভীতিকর সময় অতিক্রম করেছিলাম (যেমন এশার ওয়াক্তে আমার নামাজে সেজদারত অবস্থায় পিঠের ওপর অসহায় একটি পাখী এসে নিরাপদ স্থান মনে করে বসে আছে,পায়ের নিকট ক্ষতিকর পোকামাকড় চেলা,বিচ্ছু ও সাপ ইত্যাদি সবাই অসহায়,কেউ কারও ক্ষতি করার চিন্তা করছে না ।) সবাই যেন প্রহর গুনছে এ প্রবল বৃষ্টি-বাতাস,জলোচ্ছ্বাস আর ঢেউয়ের তান্ডব কখন থামবে।
জলোচ্ছ্বাস শেষ হলে ৩য় দিন স্থানীয় বহু লোকের সহায়তায় মাটি কেটে ধীরে ধীরে গাছপালার সংগে আটকে যাওয়া আমাদের বোটটিকে নদীতে ভাসানো হয় ও আমরা নিরাপদ অনুভব করি। পরে চাঁদপুরে অফিসে ফিরে আসি। অবশ্য সেটি ঐ বোটে করে নয় বাই রোডে তথা ট্রলার-নৌকা-বাসে করে। কেননা ঐ বিধ্বস্থ বোটের আর পূর্বের মত মেরামত ছাড়া শক্তি ছিল না গবেষণা দলকে বহন করবার।
যে কথা আজও পর্যন্ত এতটা খোলাসা করে আমার আপন জনদের বলতে পারিনি। হয়তো এই নিরামিষ লেখনী থেকে কিছুটা আচ্ করতে পারবেন তারা। সত্যিকার অর্থে নিজেও একটু পেছন ফিরে স্মৃতি আওড়াতে গেলে শিউরে উঠি। অবশ্য এরুপ বহুবার বহুস্থানেই হয়েছে।
১৯৯২-এ সুন্দরবনে তিনরাত চারদিন থেকে গবেষণা-পর্যবেক্ষণের কাজ করে জলদস্যুদের অতিক্রম করে ও কৌশলে সব অবস্থা মোকাবিলা করে দলবল নিয়ে নির্বিঘ্নে ফিরে আসা এজাতীয় স্মৃতি হাতড়াতে গেলে এখনও ’গা’ ছমছম করে ওঠে । সুন্দরবনের অসহায় জেলে পল্লীর হতদরিদ্র মৎস্যজীবিদের ত্রাতা হিসাবে খ্যাত! গহীন-ঘন বন-জঙ্গলের রাজা মেজর জিয়া-কামালের (আপন দু’ভাই) সংগে ক’দফায় ক’ ঘন্টার বৈঠক ইত্যাদি শেষে ঘরে ফেরা।
কিন্তু একটা চেতনা আমাকে বরাবর শক্তি যুগিয়েছে-সেটা হলো যেহেতু, আমি একটি ভালো কাজের সংগে যুক্ত আছি, সেহেতু ঝুঁকি বা বাধা থাকতে পারে, কিন্তু কেউ জেনে বুঝে আমার বা আমাদের দলের চুড়ান্ত কোনো ক্ষতি করবে না, সর্বোপরি আল্লাহ আমাদের সহায় থাকবেন।
সেবার ২০১৫ সালে ওয়ার্ল্ড ফিশ ইকোফিশ এর আওতায় ইলিশ প্রজননসহ বিশেষ কিছু চ্যালেঞ্জিং মিশন নিয়ে অন-বোর্ড ট্য্রায়ালের লক্ষ্যে মনপুরার উদ্দ্যেশ্যে চলতে গিয়ে (২০০৯ সালে যেখানে ’আইলা’ ঝড়ে আটকে গিয়েছিলাম) সে বঙ্গের চর অঞ্চলটিকেই আর খুঁজে পাইনি অর্থাৎ অঞ্চলটি ইতোপূর্বে মেঘনা মোহনায় মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে। সে জনপদটিই এখন আর মানচিত্রে নেই।
এর মধ্যে এরূপ অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে প্রমত্তা পদ্মার শুধু ইলিশই নয় পদ্মার অনেক পানি (ফারাক্কার চাপে হ্রাস পাওয়া সত্ত্বেও) মেঘনা বেয়ে সাগরের নোনা জ্বলে মিলে মিশে একাকার হয়ে গিয়েছে- সে সঙ্গে এ দেশের মানুষ খেয়েছে টনে টনে সুস্বাদু ইলিশ। শুধু তাই নয় ফারাক্কাবাসীরাও আজও সে ইলিশের স্বাদ নিচ্ছে নানা (বৈধ-অবৈধ) পন্থায়।
ফারাক্কা উপাখ্যান বহু পুরানো হয়ে থিতু হয়ে চাপা পড়ে থাকলেও তিস্তার পানি এ দেশে আসার সম্ভাবনা দেখা দিয়েও সেটি যেন আর হয়ে ওঠেনি-ঐ পরিমাণ ’মমতা’ মমতা ব্যানার্জি দেখাতে না পারায়- ঢাকাতে এসেই আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বললেন, ‘ভালো আছি তবে ইলিশ তো আসছে না’। রসিকতার সুরে বা যেভাবেই হোক তাৎক্ষণিক ভাবেই যথার্থ উত্তর দিয়ে দিয়েছিলেন ’তিস্তার পানি এলেই ইলিশ আপনার অঞ্চলে (সে পানি দিয়ে) চলে যাবে’।
এদেশে ইলিশ গবেষণা ও ব্যবস্থাপনা চলছে এবং চলবে জাতীয় প্রয়োজনীয়তার নিরীখেই। বর্তমানে মৎস্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,ওয়ার্ল্ড ফিশ, আইইউসিএন,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,বিসিএএস,শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,মেরিন ফিশারিজ একাডেমি,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ বহু প্রতিষ্ঠান ইলিশ গবেষণার সঙ্গে নানা ভাবে সংশ্লিষ্ট হয়েছেন এবং হচ্ছেন, শুধু তাই নয় বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানও বর্তমানে ইলিশ বিষয়ক গবেষণার সাথে যুক্ত হয়েছে এবং হচ্ছে।
ইলিশ মাছের ব্যবস্থাপনায় সরকারের সু-নজর তথা মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়, মৎস্য অধিদপ্তর যেভাবে ইলিশ গবেষণার ফলাফলকে কাজে লাগিয়ে HFMAP (Hilsa Fishery Management Action Plan) বাস্তবায়নের মাধ্যমে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি করে চলেছে সেটি প্রতিবেশি রাষ্ট্রসমূহের নিকট ঈর্ষণীয় ও দৃষ্টান্ত স্বরূপ হয়ে উঠেছে।
যেটি বাংলাদেশের ইলিশ গবেষণা ও ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের দিকটিকে খুবই ফলপ্রসূ ও কার্যকর প্রতীয়মান করে তুলেছে অনেকটা যেন মডেল হিসেবে, সহনশীল ইলিশের উৎপাদন বজায় রাখার স্বার্থে এ অবস্থা যে কোনো মূল্যে ধরে রাখা প্রয়োজন। বর্তমানে ব্লু ইকোনমীর দিকে দৃষ্টি দেয়ার স্বার্থে গভীর সাগরকে ব্যাপক গবেষণার আওতায় আনা প্রয়োজন এবং সাথে সাথে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রসমুহের সংগেও চুক্তি বা সমোঝোতা থাকা আবশ্যক, আর যেহেতু ইলিশ একটি শক্তিশালী অভিপ্রয়ানশীল মাছ (কোন রাষ্ট্রীয় সীমানা অতিক্রম করতে যার কোন পাসপোর্ট-ভিসার প্রয়োজন হয় না) অর্থাৎ একই সাথে এটি একটি ট্র্যান্সবাউন্ডারী ইস্যু। তাই দেশের বৃহত্তর স্বার্থেই এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকল সচেতন মহলের বিশেষ নজরদারী থাকা জরুরি। ‘মা ইলিশ রক্ষা পেলে, বার মাসই ইলিশ মেলে।’
লেখক : কৃষিবিদ ড.মো.আনিছুর রহমান
প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকতা ও ইলিশ গবেষক
বিএফআরআই,নদীকেন্দ্র,চাঁদপুর
সম্পাদনায় : আবদুল গনি
২ অক্টোবর ২০২৮,মঙ্গলবার