চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে মসজিদের ইমামের কক্ষ থেকে উদ্ধার হওয়া তিন শিশুর মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটিত হয়নি সাত দিনেও। এতে ওই তিন শিশু-কিশোরের স্বজনেরা হতাশ। রহস্য উদঘাটনের জন্য পুুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) দুটি রাসায়নিক বিশেষজ্ঞ দল কাজ করছে।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে জুম্মার নামাজ চলাকালে উপজেলা সদরের পূর্ব কলাদী জামে মসজিদ এলাকায় মসজিদটির ইমাম মো. জামাল উদ্দিনের মসজিদসংলগ্ন কক্ষে তাঁর আট বছরের ছেলে আবদুল্লাহ আল নোমান এবং মো. ইব্রাহিম (১২) ও মো. রিফাত (১৫) নামের তিন শিশু-কিশোরের রহস্যজনক মৃত্যু হয়।
শিশুদের স্বজনেরা বলেন, তিন শিশু- কিশোর মারা যাওয়ার সাত দিন অতিবাহিত হতে চললেও এখন পর্যন্ত তাদের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বের করতে পারেনি পুলিশ। এ জন্য তাঁরা হতাশ। ঠিক কী কারণে এবং কীভাবে তারা ইমামের ওই কক্ষে মারা গেল তা তাঁদের কাছে এখনো অস্পষ্ট।
পুলিশ এসব শিশু-কিশোরের মৃত্যু সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দিলেও সেগুলো চূড়ান্ত কিছু নয়। ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা প্রতিবেদন আসছে কিনা তা-ও জানেন না তাঁরা। তবু ঘটনাটির গ্রহণযোগ্য তদন্ত করে পুলিশ শিগগির ওই শিশু-কিশোরদের মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তাঁরা।
মতলব দক্ষিণ থানার ওসি স্বপন কুমার আইচ বলেন, এ হত্যার প্রকৃত কারণ বের করতে তাঁর থানার পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যে কক্ষটিতে শিশুরা মারা যায় সে কক্ষের বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে গত বুধবার সেগুলো চট্টগ্রামের সিআইডি কার্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়া চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা ভিসেরা পরীক্ষার জন্য শিগগির লাশের যকৃত ও হৃদ্পিন্ডসহ আরও কয়েকটি উপাদান ঢাকা বা কুমিল্লায় পাঠাবে। কক্ষের আলামত ও ভিসেরা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেলে ঘটনাটির রহস্য বের হয়ে আসবে।
প্রতিবেদক : মাহফুজ মল্লিক
৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯