ব্যবস্থাপনায় গাফিলতি : ৮ এজেন্সিকে নোটিস

হজযাত্রার তৃতীয় দিন সকাল ১০টা পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ৬ হাজার ৭৭ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। মঙ্গলবার ২৩ মে দুপুরে হজ অফিস থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এ ছাড়া হজযাত্রীদের ব্যবস্থাপনায় গাফিলতির জন্য আটটি এজেন্সিকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

হজ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ পরিবহন করেছে ৪ হাজার ৫৫৭ জন এবং ফ্লাই নাস পরিবহন করেছে ১ হাজার ৫২০ জন হজযাত্রীকে। সোমবার মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার রাত ১১টা পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস মোট পাঁচটি ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এসব ফ্লাইটে মোট ২ হাজার ৯৫ জন হজযাত্রীর সৌদিতে পৌঁছনোর কথা রয়েছে। এ ছাড়া বেসরকারি ফ্লাই নাস এয়ারলাইনসে সোমবার ভোর ৫টা থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তিনটা ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এসব ফ্লাইটে জেদ্দায় পৌঁছনোর কথা রয়েছে মোট ১ হাজার ১৯৫ জন হজযাত্রীর।

মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আশকোনার হজক্যাম্প ঘুরে দেখা গেছে, দুপুর ও বিকালে যাদের ফ্লাইট তারা শেষ সময়ের ইমিগ্রেশন ও চেকইনের কাজ করছেন। বুধবার ও বৃহস্পতিবার যাদের ফ্লাইট তারা হজক্যাম্পে প্রবেশ করছেন। অন্যান্যবারের চেয়ে এবারের হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে সন্তুষ্ট হজযাত্রীরা। ফ্লাইট ও ভিসাসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে অনেকে ভিড় করছেন হজ অফিসে। কর্মরতরাও নিজেদের সাধ্যমতো সহযোগিতা করছেন তাদের। কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা দেখা যায়নি। এ বছর হজক্যাম্পের ভেতরের খাবারের দোকানগুলোতে দাম তুলনামূলক কমই আছে। দোকানগুলো থেকে তুলনামূলক মানসম্মত খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানান এক হজযাত্রী।

বাবা ও মাকে নিয়ে হজক্যাম্পে আসা রবিউল হক বলেন, ’এর আগেও আত্মীয়স্বজনদের বিদায় জানাতে হজক্যাম্পে এসেছিলাম। তবে সে সময়ের চাইতে এখনকার হজ অফিস বেশ গোছাল। দ্রুতই সব কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও কোনো অসুবিধা হয়নি।’

হজ অফিসের পরিচালক মো.সাইফুল ইসলাম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘সব কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি হাজি সাহেবদের ঝামেলাবিহীনভাবে সৌদি আরব পৌঁছে দিতে। এজন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’

তিনি জানান, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৯০৭ জন হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার রয়েছে ৪ হাজার ৬৯৫ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ৩০ হাজার ২১২ জনের।

এ বছর বাংলাদেশ থেকে সর্বমোট ১ লাখ ২২ হাজার ৫৫৮ জন হজ পালন করবেন। তার মধ্যে সরকারিভাবে ১০ হাজার ৩৬০ জন এবং বেসরকারিভাবে ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন। তবে অফিস সূত্রে জানা গেছে, আরও ৯ জন ব্যক্তি এবারের হজে যেতে নিবন্ধন দিতে আবেদন করেছেন। হজ অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে সব কোটা পূর্ণ হয়েছে। যেসব কোটা খালি ছিল সেগুলো সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাই এই মুহূর্তে নতুন করে কাউকে নিবন্ধন দেওয়া সম্ভব না। তবে মারা গেলে বা অসুস্থতার ও ব্যক্তিগত কারণে নিবন্ধন করা কেউ হজে যেতে না পারলে আবেদন করা ব্যক্তিরা বদলি হিসেবে যেতে পারবেন।

৮ এজেন্সিকে কারণ দর্শানোর নোটিস

রবিবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি ৩০০৫ ফ্লাইটে মক্কায় যাওয়া হজযাত্রীদের ব্যবস্থাপনায় গাফিলতি করার জন্য আটটি এজেন্সিকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। তিন দিনের মধ্যে ওই এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে কেন প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তা জানাতে বলেছে মন্ত্রণালয়।

২৩ মে ২০২৩
এজি

Share