বছরের চার মাস বাকী থাকতেই লক্ষ্যের পুরো কৃষি ঋণ বিতরণ করে ফেলেছে ১২টি বাণিজ্যিক ব্যাংক। ব্যাংকগুলো হলো- ব্যাংক আল-ফালাহ, কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন, হাবিব ব্যাংক, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, ব্যাংক এশিয়া, ঢাকা ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, সীমান্ত ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, সিটিব্যাংক এনএ, এইচএসবিসি এবং উরি ব্যাংক।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি আট মাসের কৃষি ঋণের প্রতিবেদন প্রকাশে করে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেখানে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, বছরের আট মাসে মোট কৃষি ঋণ বিতরণ হয়েছে ২১ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার ৬৮ দশমিক ১৫ শতাংশ। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং খাতে কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩০ হাজার ৯১১ কোটি টাকা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ সময়ে রাষ্ট্রমালিকানার ব্যাংকগুলো ৮ হাজার ৬২৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা বা লক্ষ্যমাত্রার ৭৩ দশমিক ৪২ শতাংশ বিতরণ করেছে। আর বিদেশি ও বেসরকারি খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে ১২ হাজার ৪৩৪ কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার ৬৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মোট বিতরণ করা ঋণের কম পক্ষে ২ শতাংশ কৃষি ঋণ বিতরণে নির্দেশনা রয়েছে। এ কারণে প্রতিবছর আমানত বাড়ছে, বাড়ছে ঋণ বিতরণ। একই সঙ্গে বাড়ছে কৃষি ঋণ বিতরণও। যে সব ব্যাংকের পল্লী অঞ্চলে নিজস্ব শাখা নেই তাদের এনজিও লিঙ্কেজ ব্যবহার করে কৃষি ঋণ বিতরণে নির্দেশনা রয়েছে। পল্লী অঞ্চলে যে সব ব্যাংকের নিজস্ব শাখা নেই বা কম আছে তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের এই নীতি অনুসরণ করছে।
জানা গেছে, কৃষি ঋণ বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বোচ্চ গুরুত্বে ঋণ বিতরণ কার্যক্রম। খাদ্য নিরাপত্তা দেশে প্রধান অগ্রাধিকার। বৈশ্বিক যুদ্ধ পরিস্থিতি বা অন্য কোনো কারণে বৈশ্বিক খাদ্য সরবরাহে বিঘ্ন ঘটলেও দেশে যাতে খাদ্য নিরাপত্তা বজায় থাকে, এ জন্য সরকার খাদ্য উৎপাদনে অগ্রাধিকার দিয়েছে। এ জন্য কৃষিতে সাধারণ ঋণের পাশাপাশি বিভিন্ন রকম তহবিল গঠন করে স্বল্প সুদ ও শর্তে কৃষি ঋণ বিতরণ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক তৎপর রয়েছে যাতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কৃষিঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে কোনো গাফেলতি না করে। কৃষি বিতরণ না করার কারণে প্রতি বছরই কোনো কোনো ব্যাংককে জরিমানা গুনতে হচ্ছে, জানাচ্ছে ব্যাংকগুলো।
টাইমস ডেস্ক/ ২৪ মার্চ ২০২৩