হাজীগঞ্জ

হাজীগঞ্জের রাজারগাঁও ইউনিয়নে ৮ দৃষ্টিনন্দন নতুন রাস্তা

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ১নং রাজারগাঁও ইউনিয়নবাসী অবাক করার মতো দৃষ্টিনন্দন ৮টি নতুন রাস্তার মূখ দেখলেন।

ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হাদী’র একান্ত প্রচেষ্টায় তা সম্ভব হয়েছে। তিনি সরকারি বরাদ্ধের জন্য অপেক্ষা না করে জনগণের কষ্ট লাগবে উক্ত কাজ দ্রæত সম্পন্ন করেন।

জানা যায়, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস থেকে কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজের জন্য বছরে দুই ভাগে দু’টি বরাদ্ধ দিয়ে থাকে। ওই সময় পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকলে সময়মত মাটি পাওয়া যায় না, সে কারনে অনেক ইউনিয়নে ¯েøা পর্যায়ে কাজ দেখিয়ে বিল উত্তোলনের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। আর এসব অনিয়মের অভিযোগ থেকে বাঁচতে রাজারগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল হাদী মিয়া দার-দেনা করে নতুন ৮টি রাস্তায় মাটি ফেলে ভরাটের মাধ্যমে ইউনিয়ন ও উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি কেড়েছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাজারগাঁও ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড মুকুন্দসার প্রধানীয়া বাড়ি থেকে তাহের চেয়ারম্যান বাড়ি পর্যন্ত রাস্তায় সমান তালে মাটি ভরাটের কাজ চলছে।

৩নং ওয়ার্ড মেনাপুর হাটখোলা বাড়ি থেকে মধ্য মেনাপুর মসজিদ পর্যন্ত। ৪নং ওয়ার্ড এর রাজারগাঁও বাজার থেকে জমজম ব্রিজ হয়ে সওদাগর মার্কেট পর্যন্ত।

৫নং ওয়ার্ড এর রাজারগাঁও বাজার হতে হায়দার আলী মসজিদ পর্যন্ত। ৬নং ওয়ার্ড এর পশ্চিম রাজারগাঁও বাজার থেকে রিপন পাটওয়ারী বাড়ি পর্যন্ত।
৭নং ওয়ার্ড এর রাজারগাঁও মেনাপুর সড়ক হতে কমিনিটি ক্লিনিক হয়ে নোয়া বাড়ি পর্যন্ত। ৯নং ওয়ার্ড এর রামরা খাল ও বেতাই খালপাড় নতুন দুইটি রাস্তায় মাটি কাটা পুরোদমে চলছে।

স্থানীয় বাসিন্ধা মোতালেব হোসেন, রাসেল, ইসমাইল খান, জসিম, হাফিজউদ্দিন, মিজানুর রহমানসহ প্রায় ৩০/৩৫ জনের সাথে কথা বললে তারা জানান, ইতিপূর্বে কোন চেয়ারম্যান দৃষ্টিনন্দন এতো সুন্দরভাবে রাস্তার কাজ করতে দেখিনি। বর্তমান চেয়ারম্যান হাদী মিয়া এলাকার উন্নয়নমূলক কাজ করে ইউনিয়নবাসীর দৃষ্টি কেড়েছেন। আমরা বর্তমান সরকারকে ধন্যবাদ জানাই গ্রাম পর্যায় যে সকল উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে এতে আমাদের এক এক করে সকল কাজ প্রায় সমাপ্তের পথে। আমরা আশা করবো এ ধরনের উন্নয়ন যেন অব্যাহত থাকে। রাস্তার কাজ হচ্ছে দেখে বেজায় খুশি এসব রাস্তায় চলাচলকারী পথচারী, রিক্সা ও ভ্যান চালকরাও।

এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল হাদী মিয়া বলেন, আমি কাজে বিশ্বাসী। অন্যান্য চেয়ারম্যানদের চেয়ে একটু ভিন্ন আঙ্গীকে আমার পরিষদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আর এ জন্য অনেক সময় আমার নিজের পকেট থেকে টাকার যোগান দিতে হচ্ছে। আমি সেবক হিসেবে শপথ নিয়েছি। তাই শপথের অঙ্গিকার ধরে রাখতে ইউনিয়নবাসীর উন্নয়নের স্বার্থে আগামী দিনগুলোতে কাজ করে যেতে চাই। এতে প্রয়োজন গণমাধ্যমের পাশাপাশি সকল স্তরের জনগণের সোহাদ্যপূর্ণ সার্বিক সহযোগিতা।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, আমি ইতিমধ্যে রাজারগাঁও ইউনিয়নের প্রায় সবগুলো কাজ পরিদর্শন করেছি। চেয়ারম্যান যে পরিমান কাজ করেছে এ পরিমান বরাদ্ধ হয়তো দিতে পারবো না, তবে কাজের মান দেখে বিশ্বাস করি উপজেলায় একটি “মডেল ইউনিয়ন” হয়ে থাকবে রাজারগাঁও পরিষদ। একজন জন প্রতিনিধির সদিচ্ছা থাকলে ভাল কাজ করা সম্ভব।

প্রতিবেদক- জহিরুল ইসলাম জয়

Share