বৃহস্পতিবার স্মরণীয় এ ঈদুল আজাহার নামাজের জন্য আয়া সোফিয়া মসজিদের দেয়াল ও সেজাদার স্থানে ছেটানো হয় গোলাপের পানি। ইস্তাম্বুল সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে মসজিদের ভেতর ও বাইরের প্রাঙ্গণের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ সম্পন্ন হয়। পরিষ্কারের পর আয়া সোফিয়ার দেয়াল ও সেজদার স্থানগুলোতে স্পার্টা থেকে আনা গোলাপের পানি ছেটানো হয়। এ সময় দর্শনার্থীরা নির্ধারিত সীমারেখার বাইরে অপেক্ষমান থাকে।
এদিকে করোনা বিস্তাররোধে ইস্তাম্বুল সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ঈদের নামাজ আদায়ে আগত মুসল্লিদের স্বাস্থ্যবিধি মানার অনুরোধ করা হয়। মাস্ক পরে জায়নামাজসহ নির্ধারিত স্থানে ধীরস্থির ভাবে সবাইকে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। তাই ঈদের জামাতের সময় মুসল্লিদের নিরাপদ দূলত্ব বজায় রাখতে দেখা যায়।
১১ জুলাই তুরস্কের সুপ্রিম কোর্ট ১৯৩৪ সালের নভেম্বরে কামাল আতাতুর্কের মন্ত্রিপরিষদের জাদুঘর করার সিদ্ধান্ত বাতিল করে। এরপর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান শুক্রবার ২৪ জুলাই থেকে নিয়মিত নামাজ শুরু হওয়ার ঘোষণা দেন। অতঃপর তুরস্কের ধর্ম বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা ড. আলি আরবাশের সার্বিক তত্ত্বাবধানে গত সপ্তাহে প্রথম বারে মতো জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রসঙ্গত , আয়া সোফিয়া ৫৩৭ খ্রিস্টাব্দে বাইজান্টাইন সম্রাজ্যের অর্থডোক্স খ্রিস্টানদের সর্ববৃহৎ গির্জা হিসেবে নির্মাণ করা হয়। ১৪৫৩ সালে সুলতান মুহাম্মাদ ফাতিহ ইস্তাবুল বিজয় করে তা ক্রয় করেন এবং মসজিদ হিসেবে ওয়াকফ করে দেন। ৪৮১ বছর পর ১৯৩৪ সালের ২৪ নভেম্বর কামাল আতাতুর্কের মন্ত্রীপরিষদ এটিকে জাদুঘরে পরিণত করে। ৮৬ বছর পর আগামীকাল শুক্রবার থেকে আবার তা মসজিদ হিসেবে ব্যবহার শুরু হবে।
বার্তা কক্ষ , ৩১ জুলাই ২০২০
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur