ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের আয়োজনে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও কেক কাটার অনুষ্ঠান হয়।
৭ মার্চ রোবরার বিকেলে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও ওসি (তদন্ত) মো: বাহার মিয়ার পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কেক কাটেন সংসদ সদস্য মুহম্মদ শফিকুর রহমান।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে যত বলবো, ততই মনে হয় আরো কিছু রয়ে গেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণটি জাতিসংঘ আজ বিশ্বের সকল ভাষায় অনুবাদ করেছে। আমি দীর্ঘদিন ধরে ভাষণটি নিয়ে গবেষণা করেছি। অন্তত শতাধিক আর্টিকেল লিখেছি। তারপরও মনে হয়, এখনো অনেক কথা বাকী রয়ে গেছে। ভাষণটি যত শুনি ততই আরো শুনতে মন চায়। কি ছিল না ভাষণটিতে। বাঙ্গালির অধিকার আদায়ের দীর্ঘ পথের কথা, পাকিস্তানীদের লাঞ্ছনা বঞ্চনার কথা, স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতির আহবান, আওয়ামীলীগের উদ্যোগে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোলা, ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সকলে এই মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহবান। যেই আহবানে সাড়া দিয়ে আমরা স্বাধীনতার যুদ্ধের প্রস্তুতি নেই।
বঙ্গবন্ধুর কৌশলী ভাষণের কারণে আমরা অতসহজেই বিদেশী রাষ্ট্র থেকে সহানুভ‚তি ও আন্দোলনের স্বীকৃত আদায় করতে পেরেছি। ফলে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত ও ২ লক্ষ মা বোনের স্বম্ভ্রম হারিয়ে মাত্র ৯ মাসে আমরা স্বাধীনতা লাভ করি। আমাদের মনে রাখতে হবে, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিপিড়িত ও নির্যাতিত মানুষের পাশে দাড়ানোর তাৎপর্য তুলে ধরেছেন। তিনি তার ভাষণে বলেছেন, আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, আমি এদেশের মানুষের অধিকার চাই। তাই আসুন আজকের এই দিনে আমরা শপথ নেই নিপিড়িত ও নির্যাতিত মানুষের পাশে দাড়াবো।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) আব্দুর রহিম, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান মাজুদা বেগম, ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকব আঃ ছোবহান লিটন, আ’লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপকমিটির সাবেক সদস্য ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি খাজে আহমেদ মজুমদার, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আবু সুফিয়ান, সিনিয়র যুগ্মআহবায়ক হেলাল উদ্দিন আহমেদ এবং বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা: পরেশ চন্দ্র পাল।
প্রতিবেদক:শিমুল হাছান,৭ মার্চ ২০২১