Home / চাঁদপুর / ৭ বছরেও শেষ হয়নি ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ সেতু
ভাষাবীর
সেতুর দৃশ্যমান অংশ

৭ বছরেও শেষ হয়নি ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ সেতু

ফরিদগঞ্জ ও চাঁদপুর সদর দুই উপজেলার সংযোগের জন্য ডাকাতিয়া নদীর উপর ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদ সেতুর নির্মাণ কাজ দীর্ঘ ৭ বছরেও শেষ হয়নি। ফলে ডাকাতিয়ার পাড়ের দুই উপজেলার কয়েক লক্ষ মানুষের স্বপ্ন এখন অধরাই থেকে গেল। যদিও এলজিইডি আগামী জানুয়ারি মাসে সেতু দিয়ে জনগণ চলাচল করতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

২০১৭ সালের ১১ ফেব্রুয়ারী তৎকালীন পররাষ্ট্র মন্ত্রী বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ড. দিপু মনি এমপি ও চাঁদপুর-৪ ফরিদগঞ্জ আসনের সাবেক এমপি ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূইয়া যৌথভাবে ডাকাতিয়া নদীর উপর ২৭৪.২০ মিটারের এ সেতুটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। সেতুটির কাজ শুরু করে ছিলেন ‘নবারুন কনস্ট্রাকশন’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান সেতুটির কাজ শুরু করে দ্রুততার সাথে প্রায় ৬০% শতাংশ শেষ করে।

পরবর্তীতে তিনি কাজ না করায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন হয়ে বর্তমানে ‘রিজভী কনস্ট্রাকশন লিঃ’ ও ‘মো. ইউনুছ আল মামুন লি.’ নামের দু’টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে সেতুর কাজ শুরু করে। কিন্তু এখনো সেতুটির কাজ শেষ করতে পারেনি এই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানও।

ভাষাবীর

ফরিদগঞ্জ অংশে পড়ে থাকা নির্মাণ কাজ

সেতুটির চাঁদপুর সদর উপজেলার অংশের ভায়াডাক্ট এর কাজ সম্পন্ন হলেও গত ৬ মাসে ফরিদগঞ্জ অংশের কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার। এলজিইডি তাদেরকে বারংবার নির্মাণকাজ শেষের জন্য তাগাদা দিয়ে সময় বেঁেধ দিলেও অদ্যবদি ভায়াডাক্ট এর কাজই শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার। এরপর রয়েছে সংযোগ সড়কের নির্মাণ কাজতো রয়েছেই। যদিও গত নভেম্বর মাসে শিক্ষামন্ত্রী চাঁদপুর সদর উপজেলা অংশের নির্মাণ কাজ শেষে উদ্বোধন করে গেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কালাম (৭০), ইদ্রিস মিয়া (৬৬) ও শিক্ষার্থী আল মামুন, ফারুক হোসেন সহ বেশ কয়েকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একটি সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হতে আর কত বছর লাঘবে। কয়েক বছর পূর্বে মুল সেতুটি নিমার্ণ সেতু দেখে আমরা খুশি হলেও শেষের দিকে এসে এভাবে থেমে থেমে কাজ হওয়ায় আমরা হতাশ হয়ে পড়েছি। এ যেন শেষ হইয়াও হইল না শেষ।

এলজিইডির চাঁদপুর জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহসান কবির মুঠোফোন জানান, গত জুনেই আমাদের এই প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হওয়ার চলতি ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে। আশা করছি জানুয়ারি মাসের মধ্যে জনগণের চলাচলের উপযোগি করা সম্ভব হবে।

প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩