রাস্তায় শত শত মানুষ। সবার চোখ প্রায় ৭০ ফুট উঁচু গাছের মগডালে। এসেছে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও র্যাব। সবার ভাবনা কখন কী হয়। এই বুঝি পড়ে গেল। আশপাশের বাড়ি থেকে কাঁথা, চাদর, জাল নিয়ে গাছের নিচে টানানো হয়েছে। পড়লেও যেন মারা না যায়। সবার মুখে একটিই কথা এ কী কাণ্ড!
মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে ঝিনাইদহ শহরের কাঞ্চননগর এলাকার মেহগনি বাগানের একটি উঁচু গাছের ডালে বসে ছিলেন হামিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। এ সময় পথচারীদের চোখে পড়েন তিনি। স্থানীয়রা গাছের ডালে বসে থাকতে দেখে তাকে নামানোর চেষ্টাও করেন। প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টা ব্যর্থ হলে তারা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। খবর দেয়া হয় থানা পুলিশকেও। প্রায় চার ঘণ্টা চেষ্টা করে অবশেষে গাছ থেকে অক্ষত অবস্থায় নামিয়ে আনা হয় হামিদুল ইসলামকে।
হামিদুল ইসলাম ঝিনাইদহ শহরের কাঞ্চননগর এলাকার বাসিন্দা। তবে কী কারণে তিনি গাছের মগডালে উঠে বসে ছিলেন তা এখনও জানা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা জানান, মঙ্গলবার বিকেল থেকে হামিদুলকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন তারা। মই বেঁধে বিভিন্নভাবে প্রায় চার ঘণ্টা চেষ্টা করে তাকে নামিয়ে আনা হয়। তবে কেন তিনি গাছে উঠেছেন, আর কখন কিভাবে উঠেছেন তা কেউ বলতে পারেননি।
গাছ থেকে নামানোর পর অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাজনীন নাহার জানান, হামিদুল ইসলামের মানসিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। যে কারণে তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। তবে বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন।
তবে হামিদুল ইসলামের স্ত্রী দিথি খাতুন জানান, তার স্বামীর এ জাতীয় কোনো সমস্যা আগে কখনও তিনি দেখেননি।
এ ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর মিয়ারাজ উদ্দিন জানান, তারা এক ঘণ্টা ১৫ মিনিট চেষ্টা করে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে হামিদুলকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেন।
নিউজ ডেস্ক ।। আপডেট : ০৪:০০ এএম, ০৬ জানুয়ারি ২০১৫, বুধবার
ডিএইচ