স্বৈরাচার এরশাদ সরকার পতনের দিন আজ। ২৫ বছর আগের এই দিনে (৬ ডিসেম্বর, ১৯৯০) গণতন্ত্রকামী মানুষের গণঅভুত্থানের মুখে রাষ্ট্রপতির আসন থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন এরশাদ। দিনটিকে এরশাদের দল জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে ‘সংবিধান সংরক্ষণ’ দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ সেই সময়ের সেনাবাহিনীর প্রধান এরশাদ সামরিক আইন জারি করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেন। এরশাদ বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
স্বৈরাচার এরশাদের নেতৃত্বে ৮ বছর ৮ মাস বাংলাদেশ পরিচালিত হয়। একজন ব্যক্তির অধীনে টানা সবচেয়ে বেশিদিন শাসন পরিচালনার রেকর্ড এটি। ওই শাসনামলে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারী শাসনের অবসান চেষ্টা করে।
১৯৯০ সালের শেষের দিকে রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলনের সঙ্গে দেশের প্রায় সকল সামজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো এরশাদ হটানোর আন্দোলনে যোগ দেয়।
অক্টোবর মাস থেকেই উত্তাল হতে শুরু করে রাজপথ। ১০ অক্টোবর সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচির মধ্য দিয়ে টালমাটাল রাজনীতির চূড়ান্ত অবস্থার সূচনা হয়।
১০ নভেম্বর বুকে-পিঠে গণতন্ত্র লিখে স্বৈরাচার হটানোর মিছিলে যোগ দিয়ে গুলিতে প্রাণ হারান নূর হোসেন, গুম করা হয় হুদা টিটোকে। ২৭ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে গুলি করে হত্যা করা হয় স্বৈরাচার বিরোধী গণ-অভ্যুত্থানের নেতা ডা. শামসুল আলম খান মিলনকে।
এরপর দ্রুতই বদলাতে থাকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি। জনবিস্ফোরণমুখ গণ-অভ্যুত্থানের ভয়ে ৫ ডিসেম্বর ক্ষমতা ছাড়ার ঘোষণা দেয় বাংলাদেশের ইতিহাসে অবৈধভাবে সবচেয়ে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকা এরশাদ।
৬ ডিসেম্বর বিশেষ পরিস্থিতিতে হওয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর বাধ্য হন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী দিয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সামাজিক-সাংস্কৃতি ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো।
নিউজ ডেস্ক ।। আপডেট : ০১:১০ পিএম, ০৬ ডিসেম্বর ২০১৫, রোববার
ডিএইচ