Home / লাইফস্টাইল / ৫ মিনিটে মন ভালো করে ফেলার ৭টি উপায়
৫ মিনিটে মন ভালো করে ফেলার ৭টি উপায়

৫ মিনিটে মন ভালো করে ফেলার ৭টি উপায়

Robin

রবিন রায় || আপডেট: ০৭:৪৬ অপরাহ্ন, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫, মঙ্গলবার

কিছু কিছু দিন এমনই থাকে যখন কিছুতেই মন ভালো করা যায় না। তখন কী করবেন? মন খারাপ করেই কাটিয়ে দেবেন সারাটি দিন? মোটেই না! দেখে নিন এমন কিছু ট্রিক যা পাঁচ মিনিটের মাঝে আপনার মন ভালো করে দিতে বাধ্য।
১) শুনুন চটুল কোনো সঙ্গীত

গবেষণায় দেখা যায়, গান শুনলে রক্তচাপ কমে, স্ট্রেস কমে এবং মেজাজ ভালো হয়। তবে গান শোনার সময়ে বেশি চিন্তা না করাই ভালো। তৈরি করে রাখুন এমন একটি প্লেলিস্ট যা আপনার মুখে হাসি ফোটাতে পারে। অবশ্যই খুব বেশি জোরে শব্দ দিয়ে গান শুনবেন না। এতে ক্ষতি বেশি হবে।
২) হাসুন প্রাণ খুলে

মন খারাপ থাকলে হাসি আসবে না বটে। তবে জোর করে হলেও একটু হাসুন। এতে মস্তিষ্কে ডোপামিন নিঃসরণ হবে এবং মন হয়ে যাবে ফুরফুরে। হাসলে শরীরে অক্সিজেনের সরবরাহও বাড়ে। তাই ইউটিউবে কোনো হাসির ভিডিও দেখে হাসার চেষ্টা করতে পারেন।
৩) বাইরে একটু হেঁটে আসুন

রৌদ্রে একটু হেঁটে আসলে মনের ওপরেও তার প্রভাব পড়ে। যারা দিনে বেশি আলোয়ে থাকেন তাদের ঘুমের সমস্যা কম হয় এবং বিষণ্ণতা কম দেখা যায়। একটুখানি হালকা এক্সারসাইজ হিসেবেও এটি মন ভালো করতে সাহায্য করে। হাঁটা শুধু নয়। অল্প কিছু সময় ইয়োগা অথবা স্ট্রেচ করলেও একই উপকার পাবেন।
৪) জঞ্জাল দূর করুন

আপনার আশেপাশে অনেক অগোছালো জঞ্জাল জমে থাকলে আপনার বারবার মনে হবে অনেক কাজ জমে আছে আর মেজাজ এমনিই খারাপ লাগবে। এসব জঞ্জাল দ্রুত সরিয়ে ফেলুন। সারাদিন ধরে ঘর গুছাতে হবে না তাই বলে। ঘরটাকে একটু সাজিয়ে তুলুন তাহলেই অনেক ভালো লাগবে।
৫) আলিঙ্গন করুন

প্রিয় কোনো মানুষকে আলিঙ্গন করুন। এতে শরীরে স্ট্রেস হরমোনের পরিমাণ কমে। নিঃসরণ হয় অক্সিটোসিন, যা আমাদের মেজাজ ভালো করতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও নিজেই নিজের কপাল, হাত এবং ঘাড় ম্যাসেজ করুন। এতে হার্ট রেট কমবে এবং স্ট্রেস হরমোন কমে যাবে।
৬) ভালো কোনো ঘটনার কথা চিন্তা করুন

আপনার জীবনে সবকিছুই খারাপ নয়। ভালো ঘটনাও তো ঘটছে! সেসব ভালো ঘটনাগুলো মনে করার চেষ্টা করুন। কী কী হয়েছিলো সেসব পুরোটা চিন্তা করুন। সম্ভব হলে আলাদা একটি ডায়েরিতে লিখে রাখুন। মন ভালো হয়ে যাবে সহজেই। মেডিটেশন করতে পারেন একই উদ্দেশ্যে।
৭) মনে জমে থাকা কষ্ট বের করে দিন

জীবনে আনন্দ যেমন থাকবে, কষ্টও থাকবে। এই কষ্ট মনের মাঝে পুষে রেখে দিলে বারবার মনে পড়বে এবং আপনার মন খারাপ হয়েই থাকবে। এর চাইতে বরং কাছের কোনো মানুষকে বলে মনটা হালকা করে নিন। হয়তো তারা আপনার সমস্যার ভালো একটা সমাধানও দিতে পারবে। বলা শেষ করলেই দেখবেন নিজের মেজাজটা অনেক ভালো হয়ে গেছে।

মডেল: নীহারিকা আহমেদ

 

চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ এমআরআর/২০১৫