২০২৩ সালে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি তা-ব শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন ২৭ জন শিশু মারা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে যুদ্ধের ফলে গাজার ৪০ হাজার শিশু এতিম হয়েছে। ফিলিস্তিনে ইউনিসেফের একজন প্রতিনিধি এ তথ্য জানিয়েছেন।
নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫১ হাজার ৬৫ জনে দাঁড়িয়েছে। যদিও মৃত্যুর সংখ্যা বাস্তবে আরো অনেক বেশি বলে মনে করা হচ্ছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুসারে,ইউনিসেফের প্রতিনিধি বলেছেন,যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় প্রতিদিন নিহত শিশু ও কিশোর-কিশোরীর সংখ্যা ২৭ জনে পৌঁছেছে।
ইউনিসেফের তথ্য অনুসারে, বর্তমানে গাজায় অন্তত ১৬ হাজার ফিলিস্তিনিকে জরুরি চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে সরিয়ে নেয়া প্রয়োজন। জরুরি চিকিৎসা সহায়তার প্রয়োজন–এমন লোকদের মধ্যে ৪ হাজার শিশু রয়েছে।
জানুয়ারিতে সম্পাদিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ১৮ মার্চ ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় পুনরায় গণহত্যা শুরু করে এবং আক্রমণের তীব্রতা বাড়ায়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
এর ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গণহত্যা যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা ৫১ হাজার ৬৫ জনে পৌঁছেছে।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭৩ জন আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে,যার ফলে ইসরায়েলি আক্রমণে আহতের সংখ্যা ১ লক্ষ ১৬ হাজার ৫ শ ৫ জনে দাঁড়িয়েছে। অনেক ভুক্তভোগী এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়েছেন। উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
১৯ এপ্রিল ২০২৫
এজি