চাঁদপুরে চলতি ২০১৭-’১৮ অর্থবছরের শুরুতেই শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ ৫১ কোটি ৬২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩ টি বড় ধরণের প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
সোমবার (১৭ জুলাই) শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে কর্মরত উপ-প্রকৌশলী স্বপন কুমার সাহা চাঁদপুর টাইমসকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ ও কচুয়ায় ‘টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ প্রকল্প ’এর আওতায় একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন ও ওয়ার্কশপসহ দু’টো প্রতিষ্ঠানের কাজের জন্যে ১৬ কোটি টাকা করে ৩২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলায় শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ রাজস্ব বাজেটের আওতায় ২৫ টি মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণ বাবত প্রতিটির জন্যে ৭০ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রায় ১৭ কোটি ৬২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পটি এ বছর বাস্তবায়ন করবে শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ।
শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলায় ৩৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেরামত,পুনঃমেরামত বা সংস্কারের জন্যে গড়ে ৫ লাখ টাকা করে ব্যয়ে প্রায় ২ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
এ বছরের বাকি সময়ে আরো বেশ ক’টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ার কথা রয়েছে।
এ দিকে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে অসমাপ্ত থাকা জেলার ২৬ টি বেসরকারি কলেজের ৪ তলা ভীত বিশিষ্ট ৪ তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণের কাজ অব্যাহত রয়েছে।
যার প্রতিটির ব্যয় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এতে ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের উপ-প্রকৌশলী স্বপন কুমার সাহা চাঁদপুর টাইমসকে বলেন,‘এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে জেলার শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি বৈপ্লিক পরিবর্তন হবে। লেখাপড়ার মানন্নোয়নে যথেষ্ঠ সহায়ক ভূমিকা পালন হবে। শিক্ষার্থীদের সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে লেখাপড়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
‘কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুন ও উন্নত পরিবেশে পড়াশুনার সুযোগ পাবে। প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষকগণ পাঠদানে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে। সরকারের ‘রূপকল্প ২০২১’ ও ‘শিক্ষানীতি ২০১০’ বাস্তবায়নে মানসম্মত শিক্ষার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে থাকবে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওই প্রকৌশলী বলেন,‘স্ব-স্ব এলাকার মাননীয় সংসদ সদস্যগণের ডিও লেটারের সাথে সংশ্লিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের নামের প্রস্তাবটি আমাদের দপ্তরে আসা মাত্র সরেজমিন পরিদর্শন করার পর প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করা হয়। এরপর ঊর্ধ্বতন বিভাগে প্রকল্পটি প্রেরণ করার পর অনুমোদন প্রাপ্ত হলেই চাঁদপুরের শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ বাস্তবাযনে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।’
প্রতিবেদক:আবদুল গনি
:আপডেট,বাংলাদেশ সময় ৪:৪০ পিএম,১৭ জুলাই ২০১৭,সোমবার
ডিএইচ