মতলবে ঘুষের টাকা হাতে কেটে রেখেই ঋণ বিতরণ করছেন সোনালী ব্যাংক মতলবগঞ্জ শাখায়। কৃষকদের অভিযোগ ঋণ বিতরণের সময় ঘুষের টাকা কেটে রেখেই বাকি টাকা কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে।
মতলব দক্ষিণ উপজেলার নবকলস গ্রামের জসীমউদ্দীন জানান, ৫০ হাজার টাকার কৃষি ঋণ পেতে তাকে ১৩ হাজার ৫০০ টাকার ঘুষ দিতে হয়েছে। ঋণ বিতরণের সময় ঋণ বিতরণ কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল নিজ হাতে ঘুষের টাকা কেটে রেখে বাকি ৩৬ হাজার ৫০০ টাকা তাকে দেওয়া হয়। একই অভিযোগ নবকলস গ্রামের আলমগীর হোসেনের।
অপরদিকে ঘুষ দিতে অস্বীকার করায় ঋণ পাননি একই গ্রামের ইসমাইল হোসেন, তিনি জানান ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিতে তার কাছ থেকে ১৩ হাজার টাকার ঘুষ চায় ব্যাংক কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল। তিনি ঘুষ না দেয়ায় তাকে ঋণ দেওয়া হয়নি।
সোনালী ব্যাংকের ঋণ বিতরণ কর্মকর্তা মোস্তফা কামালের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরোক্ষভাবে ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি বলেন খুশি হয়ে যে যত দেয়। তিনি সাংবাদিকদের বলেন ‘এতো দিন যা নেওয়ার নিছি, সামনে আর নিমুনা’।
ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে সোনালী ব্যাংকের মতলবগঞ্জ শাখায় ১ কোটি ৬৮ লক্ষ টাকার কৃষি ঋণ বিতরণের জন্য বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। এরমধ্যে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত ২০২ জন কৃষকদের মধ্যে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে ১ কোটি ৯ লক্ষ টাকা।
ভুক্তভোগী কৃষকরা জানান, মোস্তফা কামাল উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দালাল নিয়োগ করে রেখেছে। দালালদের মাধ্যমে তার কাছে আসতে হয়। দালাল ছাড়া শতচেষ্টা করেও ঋণ পাওয়া যায় না। কৃষকরা আরো জানায়, ঋণ বিতরণের সময় ভাউচারে স্বাক্ষর নিয়ে নিজেই ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করেন। তারপর ঘুষের টাকা নিজের হাতে কেটে রেখে বাকি টাকা কৃষকদের হাতে দেন।
এ ব্যাপারে সোনালী ব্যাংক মতলবগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক জোবায়েত উল্লাহ বলেন, এমন ঘটনা ঘটে থাকলে দুঃখজনক। অভিযোগ পেলে বিষয়টি দেখবো।
প্রতিবেদক: মাহফুজ মল্লিক, ৪ জানুয়ারি ২০২৪