হাইমচর করেসপন্ডেন্ট :
হাইমচর উপজেলার সামাজিক বন্ধন বিবাহের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় নিয়ন নীতির তোয়াক্কা না করে কিছু অসাধু কাজির বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ফি নিয়ে বাল্য বিবাহ পড়ানোর অভিযোগ উঠেছে।
সাম্প্রতিককালে হাইমচর উপজেলার অসাধু কতিপয় কাজিরা ইউনিয়ন পরিষদের সাথে যোগসাজশ রেখে বিবাহের কথা গোপন করে কোন রকম জন্ম সনদ বের করে সামাজে বাল্য বিবাহ প্রথা চালু রাখছেন।
এমনই এক ঘটনায় অনুসন্ধান করে জানা যায়, হাইমচরের ৪ নং নীলকমল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের চকিদার কান্দির মোঃ শফিক মিজি ৫ম শ্রেনীর ছাত্র আঃ রহমানের সাথে বাবা মায়ের অনুপস্থিতিতে পাশের বাড়ির দুদু মিয়ার কন্যা ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্রী সারমিন আক্তার জরিনার মধ্যে বাল্য বিবাহের রেজিঃ নথিভূক্ত করা হয়েছে। যার পৃষ্ঠা নং-১, বাংলাদেশ ফরম নং ১৬০১(ফরম‘ঘ”)। রাষ্ট্রীয় আইন অমান্য করে ঘৃন্য এই কাজটি করেন নীলকমল ইউনিয়ননের দায়িত্ব প্রাপ্ত কাজি ও নিকাহ রেজিষ্টার মোঃ ইউসুফ মিয়া।
ঘটনার বিবরণে আরো জানা যায়, ৩ আগষ্ট, ২০১৪ইং তারিখে নীলকমল ইউনিয়নের বাংলাবাজারের মোঃ সফিক মিজির ছেলে আঃ রহমান ৩৮ নং চরকোড়ালিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০১০ সালে সমপানী পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী এবং একই বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী জরিনার অভিভাবকরা জোরপূবর্ক কাজি ডেকে আঃ রহমানের সাথে বিবাহ দেন।
বিবাহিতা আঃ রহমানের জন্ম সনদে বিয়ের সময় জন্ম তারিখ ছিল ১২/৯/ ১৯৯৯ ইং। হাইমচরে অসাধু ওই কাজি এই তারিখ পরিবর্তন করে বিবাহ রেজিষ্টারের আঃ রহমান বয়স ২২ বছর এবং কনের বয়স ১৮ বছর করে নিকাহ রেজিষ্টার ভূক্ত করেন।
জোরপূর্বকভাবে অভিভাবক পরিচয় দিয়ে সানু পেদা, বাংলাবাজারের শাহআলম ও জয়নাল দাড়িয়ে থেকে বিবাহের কাজ সম্পূন্ন করে । বিবাহের কাবিন নামায় স্বাক্ষর করেন সেলিম মিয়া ও মোঃ নজরুল ইসলাম। জরিনা ও রহমানের বাল্য বিবাহের বরের উকিল নিয়োগ করা হয় মোঃ শেরাজল হাওলাদার ও কনের উকিল বাবা নিয়োগ করেন মোঃ হযরত আলী।
আঃ রহমানের পিতা শফিক জানান, ‘আমার নাবালক ছেলেকে কারা বিবাহ দিয়েছে, তা আমি জানি না। যারা আমার ছেলেকে বাল্য বিবাহ দিয়েছে তাদের বিচার দাবি করছি।’
এ বিষয়ে জানার জন্য, নীলকমল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের হাজী ইয়াসিন রতনের ২টি মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা প্রতিবেদক ব্যর্থ হয়। বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে দুই পরিবার মামলা হামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনাটি নিয়ে চর বাংলাবাজারে আলোচনা সমালোচনা চলছে। (ফাইল ছবি)
চাঁদপুর টাইমস/ডিএইচ/বিএমআই/২০১৫