প্রতীকী ছবি
রাখাইন রাজ্যে নতুন করে সহিংসতা শুরুর পর ২৫ আগস্ট থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪ লাখ ২৪ হাজার রোহিঙ্গা এসেছে বাংলাদেশে এসেছেন বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম।
তিনি বলেন,‘এ বিপুল শরণার্থীর ত্রাণ বণ্টনে সরকার সেনাবাহিনীর সহায়তা চেয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মায়া বলেন,‘এ বিপোল সংখ্যক লোকের জন্য সবাইকে সঙ্গে নিয়ে তাদের খাদ্য,স্বাস্থ্য ও অন্যান্য সেবা দেয়া হচ্ছে। তাতে সামান্য যে অব্যবস্থাপনা আছে,তা দূর করা হবে বলে আশ্বাস দেন মন্ত্রী।’
তিনি বলেন,‘বরাবর বিপদে পড়লে সেনাবাহিনীর সহায়তা চাওয়া হয়। সে বিবেচনায় এবারও রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণ বণ্টনের জন্য সেনাবাহিনীর সহায়তা চাওয়া হয়েছে। আমরা নিজেরা রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণ দিচ্ছি। কিছু নিয়মকানুন মেনে সেনাবাহিনীর সহায়তা চাওয়া হয়। এ কারণে হয়তো একটু বিলম্ব হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এখন ত্রাণ আসছে। এসব ত্রাণ গ্রহণ,বণ্টন ও ব্যবস্থাপনার কাজে সেনাবাহিনী সহায়তা করবে। তাঁরা অবকাঠামো উন্নয়নেও সহযোগিতা করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন,‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, একজন শরণার্থীও না খেয়ে মারা যাবেন না। এখন পর্যন্ত এমন কোনো ঘটনাও ঘটেনি।’
উপকূলীয় অঞ্চলের ২ হাজার একর জায়গায় ১৪টি ক্যাম্পে নতুন করে আসা রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিয়েছে। তাদের জন্য ১৪ হাজার শেড নির্মাণ করা হচ্ছে। তাতেও সেনাবাহিনী সহযোগিতা করবে। । জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রতিদিন ১৪ হাজার ইউনিট খাবার পানি বিতরণ করছে শরণার্থীদের মধ্যে।
গত বুধবার পর্যন্ত পাঁচ হাজার ৫শ’৭৫ রোহিঙ্গাকে নিবন্ধন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ত্রাণমন্ত্রী। এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন,এত দিন ১০টি পয়েন্টে শরণার্থীদের নাম নিবন্ধনের কাজ চলছিল।আজ বৃহস্পতিবার থেকে ৩০টি পয়েন্টে এ কাজ চলবে। প্রয়োজনে তা আরো বাড়ানো হবে।
নিউজ ডেস্ক
আপডেট,বাংলাদেশ সময় : ৫ :১০ পিএম,২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭,বৃহস্পতিবার,
এজি
