জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে থাকা বেগম খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই সময়ের মধ্যে খালাস চেয়ে বেগম জিয়ার আপিল শুনানি প্রস্তুত করারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এর আগে নিম্ন আদালতে খালেদা জিয়া দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ২২ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে জামিন আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেন। সেইসঙ্গে স্থগিত করেন খালেদা জিয়ার অর্থদণ্ড।
গেল ২৫ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হয়। শুনানি শেষে খালেদা জিয়ার মামলার নথি নিম্ন আদালত থেকে হাইকোর্টে এসে পৌঁছানোর পরই আদেশ দেয়া হবে বলে জানানো হয়। নিম্ন আদালত থেকে নথি পৌঁছানোর জন্য আদালত ১৫ দিনের সময়সীমা বেধে দেন। রোববার ছিল আদালতের দেয়া সময়ের শেষ দিন। কিন্তু বিচারিক আদালতের নথি সময়মত না আসায় সোমবার আদেশ ঘোষণার নতুন দিন ধার্য করেন আদালত। এরইমধ্যে রোববার দুপুরে বিশেষ ব্যবস্থায় নথি উচ্চ আদালতে এসে পোঁছায়।
এর আগে গেল ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা জরিমানা হয়। এরপর পুরান ঢাকার পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারকে বিশেষ কারাগার ঘোষণা দিয়ে খালেদা জিয়াকে সেখানে রাখা হয়। গেল ২০ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল দায়ের করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক হারুন-আর রশিদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।(সময় নিউজ)
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ২: ৪০ পি.এম ১২ মার্চ,২০১৮সোমবার
কে. এইচ.