ভিসা জটিলতাসহ অব্যস্থাপনা ও ফ্লাইট বিপর্যয়ের কারণে আটকে থাকা হজযাত্রীদের সৌদি আরবে পাঠানোর জন্য ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। সৌদি সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে ভিসা জটিলতা দ্রুত নিরসনের জন্য আদালত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে বলে আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান।
তিনি বলেন, হজযাত্রায় ‘অব্যবস্থাপনার’ জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তদন্ত কমিশন গঠনে নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।
ধর্ম সচিব, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন সচিব, পররাষ্ট্র সচিব ও হজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) মহাসচিবসহ পাঁচ জনকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
হজযাত্রায় ‘অব্যবস্থাপনার’ জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তদন্ত কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রোববারই হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ।
সৌদি আরবের কোটা অনুযায়ী এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করার সুযোগ পাওয়ার কথা থাকলেও ভিসা জটিলতা, মোয়াল্লেম ফি বৃদ্ধি ও বাসা ভাড়ায় বিলম্বের কারণে শনিবার পর্যন্ত মোট ৫৮ হাজার ৩৬১ জন সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয় বলছে, ভিসার আবেদনের সঙ্গে হজযাত্রীদের জন্য সৌদি আরবে বাসা ভাড়া করার তথ্যও দিতে হয়। শেষ সময়ে বাড়া ভাড়া করলে কম খরচে পাওয়া যাবে- এই আশায় এজেন্সিগুলো বিলম্ব করার কারণেই ভিসা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে বলে কর্মকর্তাদের অভিযোগ।
গত ২৪ জুলাই ফ্লাইট শুরুর পর পর্যাপ্ত যাত্রী না পাওয়ায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ও সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনসের মোট ২৭টি হজ ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এসব ফ্লাইটে প্রায় ১১ হাজার যাত্রী সৌদি আরবে যেতে পারতেন।
এ পরিস্থিতিতে হজযাত্রীদের জন্য বিমানের বাড়তি ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হলেও নির্ধারিত সময়ে সবাইকে সৌদি আরবে পৌঁছে দেওয়া যাবে কি না, সে বিষয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
শনিবার পর্যন্ত মোট এক লাখ তিন হাজার ৭৫০ জন বাংলাদেশি হজযাত্রীকে ভিসা দিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। ২০ হাজার ৮৪১টি আবেদন এখনও প্রক্রিয়াধীন(পূর্বপশ্চিম)
নিউজ ডেস্ক:
আপডেট, বাংলাদেশ ৭:২০ পি.এম, ১২আগস্ট ২০১৭,রোববার।
এ.জি.