খেলাধুলা

৪৪ বছর আগের সেই ‘ভূত’ তাড়া করছে ব্রাজিলকে

বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের দুটি ম্যাচ ইতোমধ্যে খেলে ফেলেছে ব্রাজিল। কিন্তু গোলের দেখা পায়নি দলটির মূল স্ট্রাইকার গ্যাব্রিয়েল জেসুস ও রবার্তো ফিরমিনো। আজ সার্বিয়ার বিপক্ষে তারা গোলখরা কাটাতে যে মরিয়া হয়ে উঠেবেন, এটা অনুমান করাই যায়। আর সেটা হলে সার্বিয়াকে হারিয়ে ব্রাজিলের জন্য গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া কোনো ব্যাপারই হওয়াা কথা না। কিন্তু গোল না পেলে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ এক রেকর্ডও গড়ে বসবে ব্রাজিলের আক্রমণভাগ।

রাশিয়া বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত তিনটি বল প্রতিপক্ষের জালে পাঠাতে সক্ষম হয়েছে ব্রাজিল।এর একটি সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে। অন্য গোল দুটি কোস্টারিকার বিপক্ষে। প্রথম ম্যাচে ব্রাজিলের হয়ে গোল করেছিলেন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার কুতিনহো। আর কোস্টারিকার বিপক্ষে কুতিনহোর সাথে গোল পেয়েছিলেন নেইমার। কিন্তু ব্রাজিল কোচ তিতের তৈরি ছকে নেইমার ফরোয়ার্ড নন। খেলা বানানো অর্থাৎ কুতিনহোর মতোই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে খেলছেন পিএসজি তারকা। কিন্তু নেইমার ও কুতিনহোর বানানো বল নিয়ে যাকে গোল দেওয়ার কথা সেই গ্যাব্রিয়েল জেসুস এখনো গোলের খাতা খুলতে পারেননি। এমনকি আরেক ফরোয়ার্ড রবার্তো ফিরমিনোও দেখা পাননি গোলের। এই কারণেই এখন চোখ রাঙাচ্ছে ৪৪ বছর আগের ব্রাজিলের ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতার এক ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ রেকর্ড।

১৯৭৪ বিশ্বকাপের কথা। সেবার গ্রুপ পর্বে ব্রাজিলের কোনো ফরোয়ার্ড গোলের দেখা পাননি। সেটাই ছিল বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে ব্রাজিলের কোনো ফরোয়ার্ডের গোলের দেখা না পাওয়ার সর্বশেষ উদাহরণ। আজ সার্বিয়ার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে জেসুস-ফিরমিনোরা গোল না পেলে সেই রেকর্ড আবার নতুন করে গড়বে ব্রাজিল।তবে এই ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ রেকর্ডটা এড়াতে আজ নতুন ছক কষতে পারে ব্রাজিলের কোচ তিতে। সেক্ষেত্রে আজ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার নয়, নেইমারকে আজ সার্বিয়ার বিপক্ষে দেখা যেতে পারে মূল ফরোয়ার্ডের ভূমিকায়। ব্রাজিলের সংবাদ মাধ্যম বলছে, সার্বিয়ার বিপক্ষে আজ নেইমারকে আট্যাকিং থার্ডে রেখেই ছক কষছে কোচ তিতে। তবে জেসুসের জায়গায় ফিরমিনো কিংবা এই ফরোয়ার্ডকে একসঙ্গেও খেলাতে পারেন তিনি।

Share