চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের জেলেদের ৪র্থ ধাপে চাল বিতরণে ‘অনিয়মের’ অভিযোগ উঠেছে।
নীলকমল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ১০/১২ জন জেলেরা ১ম,২য় ও ৩য় ধাপে চাল ফেলেও কোন কারনে ৪র্থ ধাপের না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন।
তাদের মধ্যে না পাওয়ার কয়েকজন জেলে বেপারী কান্দ্রির মৃত মজিবল মিয়া ছেলে মোঃ কামরুল চকিদার, নেপাল কান্দির মিন্টু সর্দারের ছেলে রাসেল সর্দার, আমির হোসেন মোল্লার ছেলে আলি মিয়া, মো. মনির হোসেন, বাশেদ মাঝি, চকিদার কান্দির আ. লতিফ বকাউলের ছেলে আবুর কালাম বকাউল, আহম্মদ চকিদারের ছেলে আলমগীর চকিদার, মো. হাবিব চকিদারের ছেলে হাসেম চকিদার, আবুল চকিদারের ছেলে শরীফ চকিদার ও বেপারী কান্দির আবুল বাশার ছেলে মো. রিপন সর্দার।
এদের প্রত্যেকেই জেলে তালিকা অন্তর্ভুক্ত আছে।
এব্যাপারে মো. কামরুল চকিদার জানান সরকার নিষিদ্ধ সময়ে নদীতে মাছ না ধরায় জেলেদের জন্য চার মাসে ৪০ কেজি চাল বরাদ্ধ দেয়। ৭নং ওয়ার্ডের তালিকাভ’ক্ত জেলে সে । জেলে কার্ডের ৩বার চাল উত্তোলনের সময় অফিসরা কার্ড নিয়ে যান। শেষের কিস্তি নিতে এসে আমাকে সহ ১০/১২ জন কে ফিরিয়ে দেয়।
এব্যাপারে ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ রাসেল মিয়া চাঁদপুর টাইমসকে জানান ‘আমার ওয়ার্ডে জেলেদের ১৪টি কার্ড আমাকে অফিসাররা কম দিয়েছে । আমি তাদেরকে কইতে কার্ড দিবো।’
এ ব্যাপারে ৪নং নীলকমল ইউনিয়নের টেগ অফিসার মো. সুজন সর্দার চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘আমি প্রত্যেক জেলেদের কার্ড মেম্বার ও চেয়ারম্যানদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি।’
ইউপি চেয়ারম্যান মো. সালাউদ্দিন আহম্মদ সর্দার চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘আমরা প্রত্যেক জেলেকে কার্ড দিয়েছি । কেউ যদি কার্ড হারিয়ে ফেলে সে কার্ড দিবে কোথায় থেকে পাবো। আর যদি কারো কাছে জেলে কার্ড তাহলে আমরা চাল দিতে বাধ্য।’
এ নিয়ে বঞ্চিত জেলেদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিারজ করছে।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, হাইমচর : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৮:৩০ পিএম, ২৪ জুন ২০১৬, শুক্রবার
ডিএইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur