বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস আজ। বাংলাদেশে প্রতিবছরের মতো এবারও উদযাপিত হতে যাচ্ছে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস। এ বছর বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘তামাক ও হৃদরোগ’।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতিবছর সারা বিশ্বে ২০ লক্ষ মানুষ তামাক ব্যবহারের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে। বাংলাদেশের হৃদরোগজনিত মৃত্যুর ৩০ শতাংশের জন্যেই দায়ি ধূমপান তথা তামাক ব্যবহার,যা খুবই আশংকাজনক। তামাক ব্যবহারজনিত রোগ ও মৃত্যু এখন আতংক। আমাদের দেশের জন্যে একটি বড় রকমের চ্যালেঞ্জ ।
১৯৭৮ সালে প্রথমে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তামাক ও তামাকজাত এবং সিগারেট বা বিড়ি সেবনের ক্ষতিকর দিবসটির প্রতি নজরে আনে। সে বছর থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তামাকমুক্ত দিবস পালিত হয়ে আসছে।
দেশে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সূত্র মতে,বাংলাদেশে তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবেেহরর কারণে প্রতিবছর এক লাখ মানুষ মারা যায় । প্রতিবছর ৩ লাখ ৮২ হাজার মানুষ পঙ্গ্গুুত্ব বরণ করে । ১২ লাখ মানুষ প্রতিবছর তামাকজনিত ব্যবহারের ফলে ক্যান্সার,স্ট্রোক,হৃদরোগ, অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্ট,লিভার ক্যান্সার ইত্যাদি জটিলরোগে আক্রান্ত হচ্ছে। মাত্র ২৫% মানুষ চিকিৎসা সেবার হাসপাতালে যায়।
আমাদের দেশে পরোক্ষভাবে ৪ কোটি ২০ লাখ মানুষ ধূমপানের শিকার। এর মধ্যে ১ কোটি নারী। কর্মক্ষেত্রে ৬৩% ও পাবলিক প্লেসে ৪৫% মানুষ ধূমপানের শিকার হচ্ছে। শুধু হোটেল ,রেস্তোঁরা ও চায়ের দোকানগুলিতে ২ কোটি ৫৮ লাখ মানুষ পরোক্ষভাবে ধূমপানের শিকার হতে হচ্ছে।
প্রাপ্ত সূত্র মতে,দেশে দৈনিক কমহলেও ৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা ও বছরে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার সিগারেট বা বিড়ি বিক্রি হয়। এ বিক্রিত অর্থে বাংলাদেশের ৫ বছরের নিচে ৭০ লাখ অপুষ্টিতে ভুগছে এমন শিশুদেরকে দৈনিক এক গ্লাস করে দুধ পান করানো সম্ভব অথবা ১ কোটি ৫০ লাখ অভুক্ত মানুষের ৪ শ’ক্যালোরি খাবার দেয়া সম্ভব।
তামাক ব্যবহার কমাতে বিশ্বের ৭৭ টি দেশে এরইমধ্যে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তা দেয়া শুরু করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রকাশ্য ধূমপান নিষিদ্ধ করেছেন। সুইডেনে সর্বপ্রথম প্রকাশ্য ধূমপান নিষিদ্ধ ঘোষণা দেয়া হয় । কিছুদিন পূর্বে উগান্ডায় প্রকাশ্য ধূমপান নিষিদ্ধ করে।
বাংলাদেশেও প্রকাশ্য ও শিশুদের সামনে বা পাশে ধূমপান নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সরকার মিডিয়াতে সকল প্রকার চকলাদার তামাক,তামাকজাত পণ্য ও সিগারেটের বিজ্ঞাপন প্রচার নিষিদ্ধ করেছে । আইনের মাধ্যমে প্রকাশ্য একজন ধূমপায়ীকে ১শ’টাকা জরিমানা ও ৩ মাস জেল দেয়ার বিধান করা হয়েছে । কিন্তু তা বাস্তবায়নে পিঁছিয়ে আছে সরকার।
প্রতিবেদক : আবদুল গনি
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ২:৩০ পিএম, ৩১ মে ২০১৮,বৃহস্পতিবার
এজি