সারাদেশ

৩ বিষয়সহ জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় নম্বর কমলো ২০০

বছরের মাঝামাঝি সময় এসে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টফিকেটে (জেডিসি) তিনটি করে বিষয়ের পাশাপাশি পরীক্ষার নম্বর ২০০ কমিয়েছে সরকার।

শিক্ষার্থীদের উপর থেকে চাপ কমাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

জেএসসি-জেডিসিতে এতদিন বাংলা ও ইংরেজির দুটি করে পত্রে ১৫০ করে নম্বরের পরীক্ষা হত। এখন বাংলা ও ইংরেজিতে আর আলাদা পত্র থাকবে না। একেকটি বিষয়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।

এছাড়া জেএসসি-জেডিসির চতুর্থ বিষয়ের পরীক্ষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে মূল্যায়ন করা হবে বলে সচিব জানান।

অষ্টমের সমাপনী এই পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ১০টি বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হত শিক্ষার্থীদের। এখন বাংলা ও ইংরেজির দুটি এবং চতুর্থ বিষয়ের পরীক্ষা আর দিতে হবে না।

পরিবর্তিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জেএসসিতে এখন ৮৫০ নম্বরের পরিবর্তে ৬৫০ নম্বর এবং জেডিসিতে ১১৫০ নম্বরের পরিবর্তে ৯৫০ নম্বরের পরীক্ষায় বসতে হবে শিক্ষার্থীদের।

বাংলা ও ইংরেজির বিষয় কমায় ১০০ নম্বরের জন্য সিলেবাস নতুন করে নির্ধারণ করা হয়েছে জানিয়ে সোহরাব বলেন, “এমন হতে পারে এমসিকিউ এক লাইন লিখতে হবে।”

অষ্টমের সমাপনী থেকে বিষয় ও নম্বর কমানোর ব্যাখ্যায় সচিব বলেন, “কিছু দিন থেকে বেশ জোরেশোরে বলা হচ্ছে যে শিক্ষার্থীদের উপর আমরা বেশি চাপ প্রয়োগ করছি। বিষয়টি সব মহলে আলোচনা হয়েছে এবং চাপ কমানোর জন্য বিভিন্নভাবে বিভিন্ন পর্যায় থেকে বলা হয়েছে।

জেএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা (ফাইল ছবি) জেএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা (ফাইল ছবি) “এটি খুব কঠিন কাজ, কারণ সিলেবাসের সঙ্গে সব কিছু সম্পৃক্ত। কোনটা কমাব, কোনটা রাখব, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া… কোন ক্লাসে, কোন শিক্ষার্থীকে কী এবং কতটুকু শেখাতে চাই তার ভিত্তিতেই পাঠ্যসূচি নির্ধারণ করা হয়।”

জেএসসি-জেডিসির নম্বর ও বিষয় কমাতে দীর্ঘদিন থেকে পরিকল্পনা ছিল জানিয়ে সোহরাব বলেন, সে অনুযায়ী বোর্ডের চেয়ারম্যানদের কাছে পরামর্শও চেয়েছিলেন তারা।

শিক্ষাবর্ষের মাঝামাঝি এসে অষ্টমের চূড়ান্ত পরীক্ষা থেকে বিষয় ও নম্বর কমানোর সিদ্ধান্ত হলেও তাতে শিক্ষার্থীদের কোনো অসুবিধা হবে না বলেই মনে করেন সচিব সোহরাব।

“যেহেতু চাপ কমাচ্ছি, অসুবিধা হওয়ার কোনোই সুযোগ নেই। এমন হতে পারে এই পাঁচ মাসে (শিক্ষার্থী) একটা কিছু পড়েছে সেটা হয়ত পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত হবে না। তাহলে তো অসুবিধার কোনো কারণ নেই।”

২০১৯ সালে পাঠ্যক্রমে হাত দেওয়া হবে জানিয়ে সচিব বলেন, “পাঠ্যক্রমে যখন হাত দেব তখন আমি মাথায় রাখতে পারব কতটুকু শেখাতে চাই। তখন চেষ্টা করব বড় ধরনের কমানো যায় কি না? কারণ আমরা সবাই একমত হয়েছি যে বেশি পড়িয়ে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্তি করানো হচ্ছে।”

কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‍উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান, বুয়েটের সাবেক শিক্ষক ইনামুল হক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহারিচালক অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক ছাড়াও এনসিসিসির সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

Share