চাঁদপুর

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ৩ দিনে শতাধিক শিশু ভর্তি

চাঁদপুরে চিকনগুনিয়া, ভাইরাল ফিভার, কাশি, নিউমনিয়া, খিচুনি ও টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ৩ দিনে চাঁদপুর ২শ’ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ১শ’ ১৭ জন শিশু রোগী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১২ জুলাই) দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে হাসপাতালে নার্সদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ভাইরাল ফিভার, কাশি, নিমুনিয়া, কনর্ভানশান (খিচুনি) রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে শিশু রোগী বেডের চাইতে অনেক বেশি শিশু ভর্তি হওয়ায় তাদেরকে ফেøারে ও মেঝেতে চিকিৎসা দেয়া হচেছ।

এদের মধ্যে বেশিরভাগ রোগী জ্বর, চিকনগুনিয়া,ও খিচুনিতে আক্রান্ত হয়ে ভুগছে। এ শিশু রোগী ভর্তি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালে দায়িত্বে থাকা সিনিয়র সেবিকা ফেরদৌসী আক্তার।

এ সময় রোগীর সাথে থাকা মায়েরা ও অভিভাবকরা অভিযোগ করে জানান, হাসপাতাল থেকে আক্রান্ত এ শিশু রোগীদেরকে প্রয়োজনীয় ঔষধ দেওয়া হচ্ছে না। তারা বাহির থেকে সব ঔষধ ক্রয় করতে হচ্ছে।

অভিভাবকরা জানান, গত ক’দিন ধরেই তাদের শিশু সন্তানরা জ্বর ভাইরাল ফিভার, কাশি, নিমুনিয়া, কনর্ভানশান (খিচুনি) রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তারা শিশুদেরকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এনে ভর্তি করে।

হাসপাতালে কর্তব্যরত নার্সরা জানায়, প্রচন্ড গরম এবং বৃষ্টি হওয়ায় আবহওয়া দুর্যোগের কারনে বিভিন্ন বয়সী শিশুরা জ্বর, সর্দি, কাশি, বমি, পাতলা পায়খানাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তৃতীয় তলার শিশু বিভাগে খবর নিয়ে জানা যায়, গত ৭ থেকে ৮ জুলাই শনিবার দুপুর পর্যন্ত সর্বমোট ১৫ জন শিশু রোগী ভর্তি ছিল। হঠাৎ ৯ জুলাই ৬০ জন, ১০ জুলাই ২৩ জন ও ১১ জুলাই মঙ্গলবার ১৯ জন শিশুসহ মোট ১শ’ ১৭ শিশু রোগী জ্বর, সর্দি, বমি , পাতলা পায়খানা, নিউমিনিয়া কিংবা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়।

এ ছাড়াও আরো ৩০ জন শিশু রোগী গত কয়েকদিন ধরে চিকিৎসা সেবা নেয়ার পর সুস্থ্য হয়ে বাড়ি চলে যায়। এ ছাড়া অনেক শিশু রোগীকে অভিভাবকরা শিশুদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিয়ে বাড়ি চলে গেছে বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এ ব্যাপারে চাঁদপুরসরকারী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর.এম.ও) ডা.ম মো. আসিবুল আহসান চৌধুরী (আসিব) বলেন, ‘এখন অত্যধিক গরমের কারনে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে। গরমের সাধারণত শিশুদের মায়েরা ফ্যানের বাতাস গ্রহণের জন্যে বেশি জোরে ফ্যান চালান, যার ফলে শিশুর ঘাম শুকিয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এ ছাড়া খাবার দাওয়ার এখন কিছুটা তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়। আর ওইসব খাবার খেয়ে অনেক শিশুরা আক্রান্ত হয়। আগামী ১ মাস পর শিশুদের এ রোগ কমে যাবে।

সিনিয়র স্টাফ করেপন্ডেন্ট
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১: ২০ পিএম, ১২ জুলাই ২০১৭, বুধবার
ডিএইচ

Share