অনধিক তিন কোটি টাকা পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ কার্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে অতীত অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হবে না। এমন বিধান রেখে জাতীয় সংসদে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) বিল-২০১৬ পাস করা হয়েছে।
সোমবার (২৫ জুলাই) পরিকল্পনামন্ত্রী আ ন হ মুস্তফা কামাল বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে বিলটি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়।
বিলের ওপর বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র সদস্যদের জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। এর আগে গত ৩ মে জাতীয় সংসদে এই বিলটি উত্থাপনের পর তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলটির ওপর আলোচনাকালে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়া স্বচ্ছ, সহজ ও যুগোপযোগী করতে এই বিলটি আনা হয়েছে। বিলটি পাস হলে দরপত্র প্রক্রিয়ায় কিছু দৃশ্যমান পরিবর্তন আসবে। দরপত্র বাতিলের প্রক্রিয়া সহজ হবে।
আর টেন্ডার ক্যাপাসিটি’র বিধান যুক্ত হওয়ায় একই দরদাতার অধিক কাজ পাওয়ার সুযোগ কমবে। শুধু তাই নয়, কাজে ব্যর্থ হলে শাস্তি দেওয়ার প্রক্রিয়াও সহজ হবে। বিলে সীমিত দরপত্র পদ্ধতির আওতায় অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমের সীমা দুই কোটি থেকে বাড়িয়ে ৩ কোটি টাকা করা হয়েছে।
আর উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতির আওতায় অভ্যন্তরীণ কার্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রাক্কলিত দর থেকে উল্লেখযোগ্য কম-বেশি পরিমাণে দরপত্র মূল্য উদ্ধৃত করার প্রবণতারোধে প্রাক্কলনের ১০ শতাংশের অধিক কম বা অধিক বেশি দর উদ্ধৃত হলে দরপত্র বাতিলের ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছে।
এছাড়া দরদাতাকে অযোগ্য ঘোষণার ধারা স্পষ্ট করা হয়েছে প্রস্তাবিত এই আইনে। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকারী তহবিলের অর্থ দিয়ে পণ্য, কার্য বা সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা এবং সবার প্রতি সম-আচরণ ও অবাধ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই আইনটি প্রণয়ন করা হয়। উক্ত আইনটি আরো সহজ করার লক্ষ্যে এই বিলটি আনা হয়েছে। (কালেরকণ্ঠ)
নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৯:৩০ এএম, ২৬ জুলাই ২০১৬, মঙ্গলবার
ডিএইচ