শিক্ষাঙ্গন

যে টিপস গুলো বিসিএস প্রিলি, রিটেন, ভাইভা সবসময় কাজে লাগবে

যে সময়ে আপনি star jalsa বা একটা মুভি দেখবেন বা gf এর সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলছেন কিংবা ফেসবুকে বন্ধুদের সাথে চ্যাট করছেন, সে সময় আরেক বন্ধু কোরান হাদিস পড়ে আলেম হচ্ছে, নিজ চরিত্র গঠন করছে। কিংবা চাকরির পড়াশুনা করে নিজেকে এগিয়ে নিচ্ছে।

যে ছেলেটা আপনার চেয়ে, না ঘুমিয়ে একটু বেশি পড়ছে সে ভাল চাকরি করবে, ভাল আলেম হবে এটাই স্বাভাবিক। আর আপনি বলে বেড়াবেন টাকা ছাড়া চাকরি হয়না কিন্তু নিজের ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠবেন না এটা ঠিক না।

আমি নিজে দেড় ( ভাইভার আগ পর্যন্ত) বছরে একট ছবি, নাটক, খেলা দেখা, বেশি ঘুরাফেরা বাদ দিয়েছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ, এর প্রতিদান আল্লাহ দিয়েছেন।

প্রতিদিন অন্তত আগের দিনের চেয়ে ৩০ মিনিট বেশি পড়ুন। চ্যালেঞ্জটা নেননা একবার। দেখবেন জীবনে কি পরিবর্তন আসে

যে কোন প্রতিযোগীতামূলক পরীক্ষায় তারাই এগিয়ে থাকে যাদের পারফরম্যান্স গণিত আর ইংরেজিতে এভারেজের চেয়ে বেশী।তাই প্রস্তুতি নেওয়ার সময় এ দুটি বিষয়কে প্রায়োরিটি দিতে হবে।

প্রতিদিন ৭ ঘন্টা করে ঘুম,৩০ মিনিট ব্যায়াম আর ব্রেনের জন্য সহায়ক খাবার খেতে হবে।যেমন প্রতিদিন ১/২ টি ডিম,৫০/৬০ গ্রাম কাজু বাদাম,ডার্ক চকলেট, ১টা গাজর খেলে মস্তিষ্কের উন্নতি ঘটে এবং ক্লান্তিবোধ দূর হয়।

অপেক্ষাকৃত কঠিন বিষয়গুলো রেকডিং করে ঘুমানোর আগে শুনতে পারেন। ইসলামি গান শুনার পাশাপাশি এসব শুনার অভ্যাস করতে পারেন।

সব ধরনের নেগেটিভ মাইন্ডেড মানুষদের থেকে দূরে থাকুন।হতাশ লাগলে আল্লাহর কাছে সাহায্য চান। কারণ আল্লাহ ছাড়া কেউ কারো নয়।

অনেক বেশী তথ্য পড়ার চেয়ে পরীক্ষার উপযোগী তথ্যগুলো বার বার পড়ুন।অনেক বেশি কিছু পড়ার চেয়ে অনেক বেশি রিভিশন দেওয়া প্রয়োজন।

সব তথ্য মুখস্থ করতে হয় না।কিছু বিষয় আপনার কমনসেন্সের উপর ছেড়ে দিন।আর কিছু বিষয় একদম মুখস্থ হতে না চাইলে খাতায় কয়েকবার সেগুলো লিখে ফেলুন।লেখার পর কি লিখেছেন সেটার দিকে কয়েকবার তাকান।ব্যাস এটুকুই যথেষ্ট।বাকি সুফলটা পরীক্ষার হলে গিয়ে উপভোগ করুন।

বার্তা কক্ষ

Share