বাংলাদেশে প্রতিবছরের মতো এবারও উদযাপিত হতে যাচ্ছে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস। এ বছর বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘তামাক ও হৃদরোগ’।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতিবছর সারা বিশ্বে ২০ লক্ষ মানুষ তামাক ব্যবহারের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে। বাংলাদেশের হৃদরোগজনিত মৃত্যুর ৩০ শতাংশের জন্যেই দায়ি ধূমপান তথা তামাক ব্যবহার,যা খুবই আশংকাজনক।
বাংলাদেশে তামাকের উচ্চ ব্যবহার এ ঝুঁকির মাত্রা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। তামাকের ভয়াবহতা ও ক্ষতিকারক বিষয়ে সহচেতনতার বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছর বিশ্ব তামাক দিবস পালিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এ দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। আমাদের দেশে তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ রয়েছে এবং উন্মুক্তভাবে ধূমপান নিষিদ্ধ সহ জরিমানার ব্যবস্থা রয়েছে।
প্রতি বছর দেশে ৫৭ হাজার লোক তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের ফলে ক্যান্সার,স্ট্রোক, বøাড পেশার, হার্ট এটাক সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। দেশের সকল প্রকার যানবাহনে ধূমপান নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপনও নিষিদ্ধ রয়েছে। প্রতিটি সিগারেটের প্যাকেটে তামাক এর বিরুদ্ধে শ্লোগান রয়েছে। তারপরও এক শ্রেণির মানুষ তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার করছে। কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষ উভয়ই তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার করছে।
পানের সাথে অনেক মহিলা পুরুষ জর্দ্দা, গুল, সাদা পাতা সহ বিভিন্ন তামাকজাত দ্রব্য সেবন করে যাচ্ছে।
বিশ্ব তামাক দিবস উপলক্ষে এ ব্যাপারে ব্যাপক গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ দিনে তামাক দিবস পালিত হয়।
প্রতিবেদক :আবদুল গনি
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৫:০০ পিএম,২৬ মে ২০১৮,রোববার
এজি