বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কর্তৃক “রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১দফা ও জনসম্পৃক্ত” রংপুর বিভাগের কর্মশালায় দুই বারের সফল মহিলা এমপি আলহাজ্ব রাশেদা বেগম হীরাকে লালমনিরহাট , নীলফামারী ও ঠাকুরগাঁও জেলার দলনেতা হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষন বিষয়ক সম্পাদক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষন বিষয়ক কমিটির সদস্য সচিব এবিএম মোশাররফ হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে এ তথ্য জানা যায়।
জানা যায়, রাশেদা বেগম হীরার পৈতৃক বাড়ি চাঁদপুর জেলায় সদর উপজেলার আলগী গ্রামে। তিনি ১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ও ১৯৯০ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল ডিগ্রি অর্জন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন ১৯৭৯ সাল থেকে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন তিনি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সামসুন্নাহার হলের ভি.পি. ও জি.এস. পদে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ছাত্রনেত্রী হিসেবে তিনি ১৯৮১ সালে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও দেশ নেত্রী খালেদা জিয়ার সাথে রাষ্ট্রীয় সফরে নেপাল ভ্রমণ করেন এবং টেলেন্ট স্টুডেন্ট হিসেবে তিনি হিজবুল বাহার সফর ও বঙ্গবভনে আমন্ত্রিত হন।
১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় যেমন অজ্জাম, সেভ-দি-চিলড্রেন, ভিএসওতে জেন্ডার বিশেষজ্ঞ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন, পাশাপাশি রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন। ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ এ যাবৎ দলের সকল রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তিনি একজন লড়াকু সৈনিক।
তিনি ৮ম ও ৯ম জাতীয় সংসদে তিনি দলের মনোনয়নে সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এবং জাতীয়তাবাদী মহিলা দল চাঁদপুর জেলা শাখার সভানেত্রী ছিলেন।
ফ্যাসিস্ট সরকার আওয়ামীলীগের আমলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কালো পতাকা কর্মসূচী চলাকালে ঢাকা পল্টন এলাকা থেকে সাবেক এমপি আলহাজ্ব রাশেদা বেগম হীরাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তাকে পুলিশের কাজে বাঁধা সংক্রান্ত মামলায় আসামী দেখানো হয়। উক্ত মামলায় ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন জানালে আদালত তার জামিন না-মঞ্জুর করেন।
পরে উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের (১৩মার্চ) হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানালে আদালত সন্তুষ্ট হয়ে তার জামিন মঞ্জুর করেন। হাইকোর্টের একটি য়ৌথ বেঞ্চে তাকে জামিন প্রদান করেন। তার স্বামী অবসরপ্রাপ্ত চট্টগ্রাম বিভাগীয় খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম মজুমদার।
এ মামলার হাইকোর্টে আসামী পক্ষের প্রয়াত আইনজীবি ছিলেন অ্যাডভোকেট সানাউল্যাহ, অ্যাডভোকের্ট আমিনুল ইসলাম, অ্যাডভোকের্ট সুফিয়া আক্তার হেলেনসহ অনেকেই। এছাড়াও এ মামলার সার্বিক সহযোগিতা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস।
চাঁদপুর প্রতিনিধি, ২২ এপ্রিল ২০২৫