ফরিদগঞ্জে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান (সংরক্ষিত নারী) পদে প্রার্থী হচ্ছেন কারা। এনিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চেয়ারম্যান পদেরমত ভাইস চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান(সংরক্ষিত) পদে সাবেক ছাত্রনেতাদের আগ্রহ বেশি রয়েছে।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে আ’লীগের সমর্থন প্রত্যাশী সম্ভাব্য প্রার্থীরা হচ্ছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী গুণীজন স্মৃতি সংসদের সভাপতি আবুল হাসনাত, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা যুবলীগ নেতা কামরুজ্জামান সবুজ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক মাসুদ আলম আয়াত। অপরদিকে বিএনপির সমর্থন প্রত্যাশী সম্ভাব্য প্রার্থী হচ্ছেন জেলা যুবদলের সদস্য ও ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আব্দুল মতিন।
এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান (সংরক্ষিত) পদে সম্ভাব্য প্রার্থীরা হচ্ছেন উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান রীনা নাসরিন, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান (সংরক্ষিত) রেবেকা সুলনাতানা স্মৃতি, ফরিদগঞ্জ বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক নির্বাচিত মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সেলিনা আক্তার শেলী, উপজেলা যুবমহিলা লীগের আহ্বায়ক রাজিয়া সুলতানা দীপু।
ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা আ’লীগের তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদব আবুল হাসনাত।
রাজনীতিতে আবুল হাসনাতের ব্যপক ত্যাগ রয়েছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে। বিশেষ করে আ’ লীগের দুঃসময়ে ফরিদগঞ্জে বিরোধী দলের হাতে ব্যপক নির্যাতনের স্বীকারহন তিনি। ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের বিশাল একটি অংশ ত্যাগী এই আওয়ামী লীগ নেতাকে দলের মনোনীত ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায়।
প্রার্থীতার বিষয়ে আবুল হাসনাত এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সমর্থন নিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে চাই। আমার বিশ^াস অতীত দলীয় কর্মকান্ড মূল্যায়ন করে দল আমাকে সমর্থন দিবে। ’
এদিকে প্রথমবারের মত বিএনপির সমর্থন নিয়ে প্রার্থী হতে আগ্রহী জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আব্দুল মতিন। তিনি সকলের দোয়া ও সমর্থন কামনা করে এ প্রতিনিধকে বলেন, ‘ বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, তবে আমি দলীয় সমর্থন নিয়ে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হবো।’
এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান (সংরক্ষিত) পদ প্রার্থী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক রীনা নাসরিন। যিনি আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে ২০১৪ সালের নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান (সংরক্ষিত) পদে বিজয়ী হন। তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘দলের জন্য কাজ করেছি। দল যদি সমর্থন দেয় তাহলে ভাইস চেয়ারম্যান পদে আবারো প্রার্থী হবে।’
এদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে নির্বাচন করতে চান জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও ফরিদগঞ্জ বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক নির্বাচিত মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সেলিনা আক্তার শেলী। একসময় ফরিদগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে পড়–য়া শেলী সামনে থেকে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়ে সুপরিচিতি অর্জন করেন।
বর্তমানে তিনি ফদিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী গুণীজন স্মৃতি সংসদের মহিলা সম্পাদক। পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মরহুম আব্দুল গণি মেম্বারের মেয়ে সেলিনা আক্তার শেলী শিক্ষা জীবনে মার্ষ্টাস ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়া সর্ম্পকে এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘ ছাত্রী অবস্থায় আ’লীগের দলীয় রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়ি।
সব সময় চেষ্টা করেছি দলের জন্য কাজ করতে। এছাড়া গরীব অসহায় মানুষের কল্যাণে নিজেকে সব সময় পাশে রেখেছি। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সমর্থন নিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান (সংরক্ষিত) পদে প্রার্থী হবো। আমি সকলের দোয়া ও সহযোগীতা কামনা করছি।’
অপরদিকে উপজেলা বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক রেবেকা সুলতানা স্মৃতি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী। তিনি ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএনপির সমর্থন নিয়ে জয় লাভ করেছিলেন।
সর্বশেষ জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে জয়ের কাছাকাছি গিয়েও আ’লীগের প্রার্থীর কাছে হেরে যান। আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া সর্ম্পকে তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘ আমি যখন ভাইস চেয়ারম্যান ছিলাম চেষ্টা করেছি ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে জনগনের কল্যাণে কাজ করতে। আসন্ন নির্বাচনে দলীয় সমর্থন নিয়ে প্রার্থী হবো। আমার বিশ^াস সুষ্ঠু ও শান্তি পূর্ণভাবে নির্বাচন হলে উপজেলা পরিষদে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা জয় লাভ করবে। ’
প্রতিবেদক- আতাউর রহমান
৭ জানুয়ারি, ২০১৯