নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, ‘সরকারের এ মেয়াদে ২ হাজার ৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০টি ড্রেজার সংগ্রহের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। নৌপথ খননের লক্ষ্যে সরকারের গত মেয়াদে ১৪টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছে।’
বুধবার দুপুরে নেদারল্যান্ডসের বিখ্যাত ড্রেজার কোম্পানি রয়েল আইএইচসি আয়োজিত তৃতীয় ড্রেজিং সেমিনারে তিনি এ কথা জানান।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এ সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত লিওনি কিউলিনেয়ার।
এতে প্রধান অথিতির বক্তব্যে নৌমন্ত্রী শাজাহান বলেন, ‘বাংলাদেশের নদীগুলো ধীরে ধীরে নাব্য হারাচ্ছে। পানিপ্রবাহ হ্রাস, ক্রস-বাউন্ডারিপ্রবাহ হ্রাস, পলিপ্রবাহ বৃদ্ধি এবং জোয়ারের প্রবাহ কম নাব্যতা হারানোর অন্যতম কারণ।’
‘নদীর পানি কমে যাওয়ায় একদিকে মাছের উৎপাদন ও সেচ কার্যক্রম ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। অপরদিকে বন্যার পানিপ্রবাহের বাধা সৃষ্টির ফলে দেশের সার্বিক অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নৌ-পথের নাব্য উন্নয়নের লক্ষ্যে ড্রেজিং করা অপরিহার্য হয়ে দেখা দিয়েছে,’ বলেন শাজাহান খান।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। দেশে ছোট-বড় ৭০০টি নদী, জলপ্রবাহ ও খাল মিলে প্রায় ২৪ হাজার কিলোমিটার নৌপথ ছিল। বিগত সরকারগুলোর অযত্ন ও অবহেলার ফলে এই নৌপথ বর্ষাকালে ৬ হাজার কিলোমিটারে এবং শুষ্ক মৌসুমে ৩ হাজার ৯০০ কিলোমিটারে এসে দাঁড়ায়।’
তিনি বলেন, ‘নৌপথের নাব্য বজায় ও উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। মন্ত্রণালয়ের দিক নির্দেশনায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (নিআইডব্লিউটিএ) নৌপথ খনন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রায় ১২০০ কিলোমিটার নৌপথ খনন করা হয়েছে। সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৩টি নৌপথ খনন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নৌপথ খনন ও নাব্য বজায় রাখার লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি কোম্পানির ড্রেজার ও কাজ করছে।’
এ সময় বেসরকারি খাতে আরও ড্রেজার নদী খননের কাজে ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান নৌপরিবহনমন্ত্রী।
চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক ||আপডেট: ০৭:৩৫ অপরাহ্ন, ১৬ মার্চ ২০১৬, বুধবার
এমআরআর