chandpur times desk:
মাত্র ২ মাসে ৮৬৩, ২০১৪ সাল জুড়ে ২০৬৯টি ধর্ষণ মামলা
শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও, বিষয়টি যেমন আশ্চার্যজনক তেমনি আবার সত্যি। বছরের প্রথম দুই মাসে ভারতের থানাগুলোতে এখনও পর্যন্ত ৩৫৪ ধর্ষণের অভিযোগ লিখিত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে লেখাঝোকার বাইরে এ সংখ্যাটি দ্বিগুণ বা তিনগুণের কাছাকাছি।
৩৫৪ অভিযোগের পাশে নির্যাতনের চিত্র আরও প্রকটভাবে প্রকাশ করছে পৃথক আরও ৫০৯টি নির্যাতন মামলা।
জানা যায় ২০১৪ সালে সমগ্র ভারতে ধর্ষণ ও নির্যাতনের লিপিবদ্ধ মামলাসংখ্যা ২০৬৯টি। বর্তমান বছরের শুরু দুই মাসে যে চিত্র দৃশ্যমান তা অব্যাহত থাকলে এবার তা দ্বিগুণে পৌঁছুবে।
নারী নির্যাতন প্রতিরোধকারী একাধিক সংগঠনের ভাষ্য থেকে জানা যায়, ভারতে নারীর প্রতি সহিংসতা রুখতে দ্রুত গ্রেপ্তার ও নারীর মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেপ্তারের আইন করা হয়েছে এবং তা বাস্তবায়িতও হচ্ছে। তারপরও তৃণমূল পর্যায়ে পরিস্থিতির কোনো উন্নয়ন ঘটছে না।
টাইমস অব ইন্ডিয়া সূত্রে জানা যায়, ভারতে একটি স্মার্ট ফোন অ্যাপ্লিকেশনও চালু আছে। হিম্মত- নামে। কোনো বিপদে পড়লে ঐ অ্যাপস চালু থাকলে আঙুলের ছোঁয়াতেই সংকেত পৌঁছে যাবে নিকটস্থ পুলিশ স্টেশনে। এমনকি হোয়াটসআপ এমন অ্যাপসও বানিয়েছে যা ব্যবহার করে মুহূর্তের মধ্যে ব্যবহারকারী নারী নির্যাতক কোনো ব্যক্তি, ট্যাক্সি-ড্রাইভার, গাড়ির নাম্বার প্রভৃতির ছবি তুলে ত্বরিৎ পুলিশের কাছে পাঠিয়ে দেয়া যায়। এছাড়া পুলিশ আত্মরক্ষার কোর্স চালু করেছে নারীদের জন্যে। – এতো কিছুর পরও ধর্ষকের সংখ্যার লেখ ক্রমেই উর্ধ্বমুখী।
ধর্ষণের মাত্রা এমন উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাওয়ার প্রতিক্রিয়া পড়েছে সাধারণ মানুষের মনেও। নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরে ৫ মার্চ বৃহস্পতিবার সৈয়দ ফরিদ উদ্দিন খান নামের এক ‘ধর্ষককে’ পুলিশের হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নেয় প্রায় ১০,০০০ জনতা। এরপর নগরীর কেন্দ্রে প্রকাশ্যে তাকে পিটিয়ে মারা হয় এবং মৃত্যুর পর ঝুলিয়ে রাখা হয়।