আরোও ২৮টি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ কোম্পানির উৎপাদন বন্ধে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়াও ৭২ ঘণ্টার মধ্যে উৎপাদন বন্ধ করে দু’ সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে স্বাস্থ্যসচিব, শিল্পসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ ৫ জনকে বলা হয়েছে।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি ) এ বিষয়ে একটি সম্পূরক আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে আবেদনটি দায়ের করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
এর আগে একই হাইকোর্ট বেঞ্চের নির্দেশে ২০টি কোম্পানির সকল ধরনের ওষুধ ও ১৪টি কোম্পানির সকল ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনও বন্ধই রয়েছে।
মানসম্মত ওষুধ উৎপন্ন না করায় এ সকল কোম্পানির লাইসেন্সও বাতিল করে দেন হাইকোর্ট। উৎপাদন বাতিল হওয়া আগের ২০টি ওষুধ কম্পানি হলো- এক্সিম ফার্মাসিউটিক্যাল, এভার্ট ফার্মা, বিকল্প ফার্মাসিউটিক্যাল, ডলফিন ফার্মাসিউটিক্যাল, ড্রাগল্যান্ড, গ্লোব ল্যাবরেটরিজ, জলপা ল্যাবরেটরিজ, কাফমা ফার্মাসিউটিক্যাল, মেডিকো ফার্মাসিউটিক্যাল, ন্যাশনাল ড্রাগ, নর্থ বেঙ্গল ফার্মাসিউটিক্যাল, রিমো কেমিক্যাল, রিদ ফার্মাসিউটিক্যাল, স্কাইল্যাব ফার্মাসিউটিক্যাল, স্পার্ক ফার্মাসিউটিক্যাল, স্টার ফার্মাসিউটিক্যাল, সুনিপুণ ফার্মাসিউটিক্যাল, টুডে ফার্মাসিউটিক্যাল, ট্রপিক্যাল ফার্মাসিউটিক্যাল এবং ইউনিভার্সেল ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড।
অ্যান্টিবায়েটিক ওষুধ উৎপাদনের অনুমতি বাতিল করা ১৪টি কোম্পানি হলো আদ-দ্বীন ফার্মাসিউটিক্যাল, আলকাদ ল্যাবরেটরিজ, বেলসেন ফার্মাসিউটিক্যাল, বেঙ্গল ড্রাগস, ব্রিস্টল ফার্মা, ক্রিস্ট্যাল ফার্মাসিউটিক্যাল, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যাল, মিল্লাত ফার্মাসিউটিক্যাল, এমএসটি ফার্মা, অরবিট ফার্মাসিউটিক্যাল, ফার্মিক ল্যাবরেটরিজ, পনিক্স কেমিক্যাল, রাসা ফার্মাসিউটিক্যাল এবং সেভ ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড।
নিউজ ডেস্ক
।। আপডটে,বাংলাদশে সময় ১০ : ১৯ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সোমবার
এজি/এইউ