আজ ভয়াল ২০ আগস্ট। চাঁদপুরের ইতিহাসে শোকাবহ একটি দিন। ১৯৯৪ সালের এই দিনে মেঘনা ও ডাকাতিয়ার মিলনস্থলে তীব্র ঘূর্ণিস্রোতের কবলে পড়ে নিমজ্জিত হয় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চাঁদপুরগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি দিনার-২ । এতে কমপক্ষে দেড়শ’ যাত্রীর সলিল সমাধি ঘটে।
দুর্ঘটনার ২৭ বছর অতিবাহিত হলেও আজো নিমজ্জিত দিনার-২ লঞ্চটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। নিহতদের অধিকাংশই চাঁদপুরের পার্শ্ববর্তী শরীয়তপুর জেলার অধিবাসী। স্বজনহারা শরীয়তপুরবাসী এখনো সেই শোকাবহ স্মৃতি ভুলতে পারেননি। সেই ভয়াল স্মৃতি আজো স্বজনহারাদের কাঁদায়। এর মধ্যে চাঁদপুরের বেশ কয়েকজন যাত্রীও মারা যায়।
উদ্ধার করা পরিচয়হীন লাশগুলোকে আঞ্জুমানে খাদেমুল ইনসানের তত্ত্বাবধানে চাঁদপুর শহরের বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়। ওই সময় নিহতদের তালিকা করা হলেও তারা সরকারি সাহায্য সহযোগিতা বা ক্ষতিপূরণ কিছুই পায়নি।
এদিকে ২০০৩ সালের ৮ জুলাই রাত পৌনে ১১টার দিকে একই স্থানে পাঁচ শতাধিক যাত্রী নিয়ে এমভি নাসরিন-১ ডুবে যায়। এতে ৩ শতাধিক যাত্রীর মৃত্যু হয়। নিহতদের অধিকাংশই ভোলা জেলার অধিবাসী। নিমজ্জিত নাসরিন-১ লঞ্চটিও উদ্ধার করা যায়নি। ভোলাবাসীর জন্য এ ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখের।
প্রসঙ্গত, মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মিলনাস্থলে তীব্র স্রোত বয়। নদীশাসন না করায় প্রতিবছর বর্ষায় এ স্থানটি মৃত্যুকূপে পরিণত হয়। ২০০৮ সালেও একই স্থানে নৌকাডুবিতে ২ জেলের মৃত্যু হয়।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ২০ আগস্ট ২০২১