চাঁদপুর

চাঁদপুর ব্রাহ্মণসাখুয়ায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে হামলা-লুটপাট

চাঁদপুর সদর উপজেলার ব্রাক্ষ্মণসাখুয়ায় মধ্যরাতে মসজিদের মাইক দিয়ে মাইকিং করে ফিল্মি স্টাইলে বসত ঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করার ঘটনা ঘটেছে। এতে হামলাকারীদের হামলায় ৪ জন গুরুতর আহত হয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের ব্রাক্ষ্মন সাখুয়ায় অ্যাড. নাজমা বেগমের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, জহির খান (৩২), মোঃ নিজাম উদ্দিন খান (৩৩, আনোয়ার গাজী (৪২) ও মিয়া গাজী (৫২)।

এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে বাদী নাজমা বেগম জানিয়েছেন।
অ্যাড. নাজমা বেগম জানায়, একই এলাকার মৃত নুরল হক গাজীর ছেলে সাইফুল ইসলাম গাজীর সাথে তার প্রায় ৫০ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। তাদের উভয় পক্ষের জমির এমন বিরোধ নিয়ে চাঁদপুর আদালতে বেশ ক’টি মামলাও চলমান রয়েছে এমনকি বাগাদী ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে তা মীমাংসার জন্যে বেশ কয়েকবার স্থানীয়ভাবে বসা হয়েছে।

মঙ্গলবার মধ্য রাতে সাইফুল গাজীর ছেলে মোঃ সোহেল গাজী দলবল নিয়ে নাজমা বেগমের বসত ঘরে হামলা ও ভাংচুর চালায়। এ সময় তারা বুদ্ধি খাটিয়ে ফিল্মি স্টাইলে কাশিম মাস্টারের বাড়িতে ডাকাতি হচ্ছে স্থানীয় মসজিদের মাইক দিয়ে মাইকিং করেন। যাতে করে মানুষ মনে করেন যে, সত্যিই ডাকাতরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

এ সময় তারা ওই বসতঘরে থাকা এলইডি টিভি, ফ্রিজ স্বর্নের চেইন, লেপ-তোষক বিভিন্ন আসবাবপত্র সহ কয়েক লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় বলে দাবি কলেছেন নাজমা।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সোহেল গাজী ঘটনার কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘আমরা এমন লুটপাটের ঘটনা ঘটাইনি। তারাই বিভিন্ন মালামাল নিয়ে এসেছে। তবে তাদের এমন কর্মকান্ড দেখে আমি নিরুপায় হয়ে মসজিদের মাইক দিয়ে ডাকাতির কথা ঘোষণা করেছি। তখন গ্রামবাসী এগিয়ে আসলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।’

এ ব্যাপারে চাঁদপুর মডেল থানার ওসি তদন্ত মোঃ মাহবুব মোল্লা জানান, ‘এমন ঘটনার জন্য তারা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমরা তদন্ত পাঠিয়েছি। তদন্তের পরে বাকি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

Share