এবার চাঁদপুরসহ দেশের ২৩ জেলা বন্যা পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। ১১ জুলাই হতে এসব জেলায় বন্যা দেখা দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, বন্যা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় বরাদ্দ ও প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক বন্যার খোঁজ খবর রাখছেন, নির্দেশনাও দিচ্ছেন।
৯ জুলাই বৃহস্পতিবার সচিবালয় থেকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত অনলাইনে ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক বন্যার খোঁজ খবর রাখছেন, নির্দেশনার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বরেন, উত্তরাঞ্চলের রাজশাহী, রংপুর, কুড়িগ্রাম, সিলেট বিভাগসহ লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, জামালপুর, নেত্রকোনা, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, চাঁদপুর, পাবনাসহ দেশের মধ্যাঞ্চলেও বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে বন্যার্ত জেলাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। যেকোনও জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনকে সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে। প্রয়োজন হলে বন্যার্ত জেলাগুলোর সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, এরইমধ্যে দেশের ১২ জেলা বন্যাকবলিত। এসব জেলার সঙ্গে আরও যেসব জেলা বন্যা কবলিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, সেসব জেলার প্রশাসনকে ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা নিয়ে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। বাধ ভেঙে যাতে বন্যার পানি ফসলি জমি ও লোকালয়ে প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এই কাজে প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভিজিএফ চালসহ নগদ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। বর্ন্যাত জেলায় শিশুখাদ্য ও পশুখাদ্য কেনার জন্য পৃথক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও দেয়া হবে।
ঢাকা ব্যুরো চীফ, ৯ জুলাই ২০২০