শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন,‘দেশের ২৩টি জেলায় একটি করে সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও প্রতিটি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপন করা হবে। নতুন প্রজন্মকে বিশ্বমানের দক্ষতায় গড়ে তোলাই হচ্ছে বর্তমান সরকারে শিক্ষানীতির মূল লক্ষ্য। চীন,জাপান,জার্মান অস্ট্রেলিয়া, কোরিয়া,সিংগাপুরসহ প্রতিটি উন্নত দেশের দিকে তাকালে দেখা যাচ্ছে তাদের প্রত্যেকের কারিগরি শিক্ষার্থীর এনরোলমেন্ট হার হচ্ছে ৬০% অধিক।’
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) আইডিইবি মিলনায়তনে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর আয়োজিত চীন সরকারের স্কলারশিপ প্রাপ্ত কারিগরি ক্ষেত্রের ৩শ’৪৯ জন শিক্ষার্থীর যাত্রাপূর্ব ওরিয়েন্টেশন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষাসচিব মো.আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত সচিব ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অশোক কুমার বিশ্বাস,বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো.মোস্তাফিজুর রহমান,আইডিইবি’র সভাপতি একে এম এ হামিদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন,‘আমাদের দেশের কারিগরি শিক্ষা অত্যন্ত পিছিয়ে ছিল। ২০০৯-এর পূর্বে কারিগরি শিক্ষার এনরোলমেন্ট ছিল এক শতাংশের নিচে। সরকারের নানামুখী উদ্যোগ ও কার্যক্রমের ফলে বর্তমানে তা ১৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। সরকার ২০২০ সালের মধ্যে এ হার ২০% এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০% এ উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছে। এজন্য নতুন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।’
আধুনিক জ্ঞান ও প্রযুক্তিদক্ষ নতুন প্রজন্ম হবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের মূল কারিগর। তাই সব শিক্ষার্থীকেই কোনো না কোনো পেশাগত দক্ষতা শিখানোর লক্ষ্যে কারিগরি শিক্ষাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। কারিগরি শিক্ষার কারিকুলাম-সিলেবাস,নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মাদরাসায় কারিগরি শাখা সংযোজন করা হবে। বাংলাদেশ থেকে এই প্রথম বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপ প্রদান করে বিদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নের জন্য পাঠানো হচ্ছে।’
তিনি চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন,‘এ ধারা আরো সম্প্রসারিত করা হবে। এ শিক্ষার্থীরা এক একজন দক্ষ জনবল হিসেবে জাতীয় উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এই উদ্যোগ কারিগরি শিক্ষা খাতে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে জনাব নাহিদ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন,কারিগরি শিক্ষার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সিঙ্গাপুর থেকে ৪শ’২০ জন এবং পরে আরো ১ হাজার১ শ’৫০ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। চীনের গুয়াংজুতে ৫শ ৮১ জন শিক্ষকের পর্যায়ক্রমিক প্রশিক্ষণ চলছে । এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
প্রসঙ্গত, কারিগরি তথা শিক্ষা খাতে এ প্রথম বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর বিদেশী সরকারের স্কলারশিপ প্রাপ্তি। চীন সরকারের ৩০ জন বাছাইকারক নিজস্ব পদ্ধতিতে বাছাই করে ৩শ’৪৯ জন শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপ প্রদান করেছে। এর মধ্যে ৩শ’১৮ ছাত্র এবং ৩১ জন ছাত্রী। এরা চীনের ১০টি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তিন বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বে। পরবর্তীতে সেখানে তারা উচ্চতর ডিগ্রিতে অধ্যয়ন তথা কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন। এরা দেশের সরকারি-বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে অধ্যয়ন করছিল।
নিউজ ডেস্ক
আপডেট,বাংলাদেশ সময় ৫:১০ পিএম,১৩ সেপ্টেম্বর,২০১৭,বুধবার
এজি