ছিলেন দোকানে বসা। ভাইকে বসিয়ে ২০ মিনিটের কথা বলে বের হন মুনসুর। সঙ্গে নিয়ে যান খালাতো ভাই আল আমিন। এরপর হঠাৎ কেঁপে ওঠে গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারের একটি ভবন। সেখান থেকে হাহাকার ছড়ায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
সেই হাহাকারে দুই ভাইয়ে খুঁজতে এসেছিলন ছোট ভাই কাওছার। প্রথমে ছুটে যান আহতদের সাঁরিতে। সেখানে একে একে সবাইকে দেখেন কিন্তু দুই ভাইয়ের দেখা মেলে না।
হতাশ হয়ে কাওছার যায় হাসপাতাল মর্গে। সেখানে সাঁরি সাঁরি রাখা ১৬ মৃতদেহ। এই ১৬ জনের মধ্যে দুই ভাইকে খুঁজে পেলেন কাওসার। ভাইয়ের কাছ থেকে চাওয়া ২০ মিনিট আর কখনো ফুরাবে না মনসুর ও আল আমিনের।
নিহত মুনসুরের ছোট ভাই কাওছার হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সামনে বসে জানান এ কথা।
তিনি জানান, ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেটে হাবিব বেডিং স্টোর নামে তাদের একটি দোকান রয়েছে। চার ভাইয়ের মধ্যে মুনসুর দ্বিতীয়। আল-আমিন তার খালাতো ভাই। সে মাঝে মধ্যে দোকানে আসতো। তাকে নিয়ে বাহিরে গিয়েছিলেন মনসুর।
কাওসার বলেন, দুর্ঘটনার সংবাদ শুনে ভাইকে ফোনে পাচ্ছিলাম না। খুঁজতে খুঁজতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে এসে আহতদের মাঝে পাইনি। পরে মর্গে লাশের সাঁরি থেকে দেখে দুজনকে পেয়েছি।
মুনসুর হোসাইন (৪০) যাত্রাবাড়ির শেখদী পশ্চিম পাড়ার মোশাররফ হোসাইনের ছেলে। তার খালাতো ভাই আল-আমিন (২৩) চাদপুর মতলব উপজেলায় পশ্চিম লালপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে। সে বেসরকারি একটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ছিলেন।
গুলিস্তানের একটি ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জনের মৃতদেহ এসেছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এতে আহত হয়ে সেখানে ভর্তি হয়েছেন শতাধিক। এ ছাড়া শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে সাতজনকে।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে বিস্ফোরণের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট উদ্ধারে কাজ চালায়। ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আপাতত উদ্ধার কাজ স্থগিত করা হয়েছে।
টাইমস ডেস্ক, ৭ মার্চ ২০২৩
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur