জাতীয়

২০১৭ সালে ‘প্রধানমন্ত্রীর’ আলোচিত বক্তব্য

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালের রাজনীতিক বিভিন্ন সমস্যা ও সফলতা নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন। তার আলোচিত বক্তব্যগুলো পাঠকদের জন্য নিচে তুলে ধরা হলো:

১। ‘কর্মস্থলে থাকুন, নয়তো চাকরি ছেড়ে দিন’

২৮ ডিসেম্বর সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সাতটি সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এম্বুলেন্সের চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি চিকিৎসকদের কর্মস্থলে থেকে যথাযথভাবে মানুষকে সেবা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যথায় সেসব চিকিৎসকদের চাকরি ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, ‘আমরা যখন উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসকদের নিয়োগ দেই তখন অনেকেই আছেন যারা কর্মস্থলে থাকতে চান না। বরং তারা যেকোনো উপায়েই ঢাকায় থাকেন। যদি চিকিৎসকদের ঢাকাতেই থাকার ইচ্ছা হয়, তাহলে তাদের সরকারি চাকরি করার প্রয়োজন নেই। রাজধানীতে বসে প্রাইভেট রোগী দেখে তারা অনেক টাকা উপার্জন করতে পারেন। তাই, তাদের চাকরি ছেড়ে দিয়ে বাড়িতে চলে যাওয়াই ভালো। আমরা তাদের স্থলে নতুন নিয়োগ দিব। তাই কর্মস্থলে থাকুন, নয়তো চাকরি ছেড়ে দিন।’

২। ‘তারা এখন কোথায় মুখ লুকাবেন’

২৫ নভেম্বর বিকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়া উপলক্ষে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের আয়োজনে শোভাযাত্রা শেষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ভাষণটি একসময় বাংলাদেশে প্রচার নিষিদ্ধ ছিল এবার ইউনেস্কোর স্বীকৃতির পর তারা (বিএনপি) এখন কোথায় মুখ লুকাবেন?

৩। ‘মাথা উঁচু করে চলতে চাই, কারো কাছে হাত পেতে নয়’

২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএমএতে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ পরিদর্শন শেষে নিজ ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা মাথা উঁচু করে চলতে চাই। কারো কাছে হাত পেতে নয়।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিকে (বিএমএ) বিশ্বমানের হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এর মাধ্যমে প্রশিক্ষিত ও আধুনিক সেনাবাহিনী বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।’ সেনাবাহিনী জনগণের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সেনাবাহিনীকে সব সময় জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে।

৪। ‘বিএনপির সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতা নয়’

২২ সেপ্টেম্বর সকালে নিউইয়র্কে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক সমঝোতার কথা নাকচ করে দিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা সন্ত্রাস ও হত্যার রাজনীতির সঙ্গে জড়িত আমি তাদের কাছে ফিরে যেতে আগ্রহী নই। তাই বিএনপি’র সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতার প্রস্তাব দেয়া কারো উচিত হবে না। শেখ হাসিনা বলেন, যারা হত্যা ও সন্ত্রাসের রাজনীতি, বঙ্গবন্ধুর বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড এবং দেশকে ধ্বংসে বিশ্বাসী তাদের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক সমঝোতা হতে পারে না।

৫। ‘শেখ হাসিনা দেশ বেচে না, রক্ষা করতে জানে’

১২ এপ্রিল বিকালে গণভবনে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেছেন,
‘শেখ হাসিনা দেশ বেচে না, রক্ষা করতে জানে। স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে জানে, উন্নয়ন করতে জানে।’ ভারতের সঙ্গে চুক্তি করে সরকার দেশ বেচে দিয়েছে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের জবাবে শেখ হাসিনা এ মন্তব্য করেন।

৬। ‘বিএনপি নাকে খত দিয়ে নির্বাচনে আসবে’

৭ ডিসেম্বর বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের উত্তরে বলেন, বিএনপি নাকে খত দিয়ে নির্বাচনে আসবে। এবার আর তারা ভুল করবে না। আগামী নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে আলোচনার কোনো প্রয়োজন নেই।

৭। ‘বিএনপির পায়ের নিচে মাটি নেই’

৪ জুন সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) ইফতার মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মাটি ও মানুষের মধ্য থেকেই আওয়ামী লীগের জন্ম, তাই এই দলটিই এ দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, দিয়েছে অর্থনৈতিক মুক্তি। অন্য দিকে ক্ষমতা দখল করে বিএনপি এ দেশের জন্য অর্থনৈতিক দৈন্যতা এনে দিয়েছে।

৮। ‘আগে শিক্ষা, পরে রাজনীতি ছাত্রলীগকে শেখ হাসিনা’

ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মনে রাখতে হবে, ছাত্ররাজনীতি আমরা করব। কিন্তু শিক্ষা গ্রহণ করাটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় এবং সবার আগের কাজ। ছাত্রলীগ দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করবে। ২৫ জানুয়ারি বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগ আয়োজিত পুনর্মিলনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। (বিডি২৪)

নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৬:১৫ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭, শুক্রবার
এএস

Share