চাঁদপুর

‘২০১৭ সালের মধ্যে চাঁদপুরকে শ্রেষ্ঠ জেলা করা হবে’

চাঁদপুরের যে গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা বেশি সেই গ্রামে তাদের জন্য একটা ভবন তৈরি করতে হবে। তা না হলেও উপজেলা পর্যায়ে অন্তত একটি ভবন তৈরি করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য দেশে অনেক জমি বরাদ্ধ রয়েছে। বেড়ি বাঁধের আশে-পাশে মাটিগুলো কেউ যেন না নেয় সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের উন্নয়নমূলক সভায় সভাপতিত্বের বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আব্দুস সবুর মন্ডল এসব কথা বলেন।

চাঁদপুরের প্রতিবন্ধি যুবকের আবিষ্কারের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন প্রতিবন্ধীদের জন্য সৌর বিদ্যুৎ চালিত হুইল চেয়ার আবিষ্কারক মো. ইউসুফ হোসেন হৃদয়ের একটি হাতে সমস্যা রয়েছে। তাকে চিকিৎসা করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিন প্রতিবন্ধীদের জন্য ইউসুফ হোসেন হৃদয়ের আবিষ্কৃত হুইল চেয়ার দেয়া হবে।

শিক্ষা বিষয়ে তিনি বলেন, ‘২০১৭ সালের মধ্যে চাঁদপুর জেলাকে শিক্ষা ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ জেলা হিসেবে তৈরি করতে হবে। প্রতিমাসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের সাথে তিনটি মিটিং করতে হবে। ব্যবসা করলেই সরকারি কর সকলকে দিতেই হবে। রোববার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা উন্নয়ন সমন্নয় কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ লুৎফর রহমানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মো. ওয়াহিদুজ্জামান, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান, সিভিল সার্জেন রথিন্দ্রনাথ মজুমদার, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. এএসএম দেলওয়ার হোসেন, মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এমএ মতিন মিয়া, ১৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবদায়ক প্রদীপ কুমার দত্ত, স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত ডা. সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা উদয়ন দেওয়ান, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সামছুজ্জামান, কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আলী আহম্মেদ, সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত দত্ত, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রিপন কুমার রায়, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিছুর রহমান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সফিকুর রহমান, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মোবারক হোসাইন, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী কার্তিক চন্দ্র মন্ডল, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা পারভীন আক্তার, ফায়ার সার্ভিস এর সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা সামিমুল ইসলাম, প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র নন্দী, জেলা তথ্য কর্মকর্তা মো. নুরুল হক, জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তা এনএম রেজাউল ইসলাম, শাহারাস্তি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল মাসুদ, হাইমচর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম সরওয়ার কামাল প্রমুখ।

সভায় নানা বিষয়ে বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

: আপডেট ৯:১২ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, রোববার

ডিএইচ

Share