বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বিকেলে রোগীদের মাত্র ২০০ টাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা প্রদানের উদ্যোগ সফল হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালের ২১টি বিভাগের অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপকরা গড়ে প্রতিদিন প্রায় ৪শ’ রোগী দেখছেন।
প্রতিদিন আউটডোরে বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখাতে অসংখ্য রোগী লম্বা লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চিকিৎসাসেবার মান ধরে রাখতে প্রতিদিন ২০ রোগী দেখার বাধ্যবাধকতা বেঁধে দেয়ায় বিপুল সংখ্যক রোগীকে সিরিয়াল না পেয়ে ফেরত যেতে হচ্ছে। তবে ২শ’ টাকা ফি দিয়ে অধ্যাপকের চিকিৎসা পাওয়ায় সন্তুষ্ট রোগীরা।
বিএসএমএমইউ ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান মঙ্গলবার জানান, মাত্র ২শ’ টাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসাসেবাটি রোগীদের কাছে ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া বাকি দিনগুলোতে কোন বিভাগে কোন অধ্যাপক/সহযোগী অধ্যাপক রোগী দেখবেন তার আগাম রুটিন থাকায় রোগীরা পছন্দের চিকিৎসক দেখাতে পারছেন।
বিএসএমএমইউ ভিসি বলেন, প্রতিদিন একজন অধ্যাপক ২০ দেখেন। চিকিৎসাসেবার মান বজায় রাখতেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে কিভাবে অধিক রোগীকে সেবা দেয়া যায় সে নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বৈকালিক শিফটে দুই লাখ ৩৫ হাজার ১৮৯ রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এরমধ্যে ২০১৪ সালে এক লাখ ২০ হাজার ৪৩৮ ও ২০১৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত এক লাখ ১৪ হাজার ৭৫১ রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।
যে সকল বিভাগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বসছেন সেগুলো হলো : ইএনটি, ইন্টারনাল মেডিসিন, রিওমেটোলজি, এন্ড্রোক্রাইনোলজি, ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাভিলিটেশন, পেডিয়েট্রিক, ডার্মাটোলজি অ্যান্ড ভেনেরোলজি, কার্ডিওলজি, অবসট্রেটিক অ্যান্ড গাইনোকোলজি, গ্যাসট্রোএন্টারিওলজি, আই, নেফ্রোলজি, ইউরোলজি, নিউরোমেডিসিন, সাইকিয়েট্রি, হেপাটোলজি, সার্জারি, অর্থোপেডিক সার্জারি, পেইন ক্লিনিক, হেমাটোলজি ও রেসপিরেটরি মেডিসিন।
চিকিৎসা নিতে আসা লালবাগের বাসিন্দা আবদুল হামিদ জানান, উদ্যোগ ভালো।তবে মাত্র ২০ রোগী দেখার বাধ্যবাধকতা থাকায় হাসপাতালের এক শ্রেণির অসাধু কর্মচারী এ নিয়ে ব্যবসা করছে। তারা ঘুষ নিয়ে সিরিয়াল বিক্রি করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
মতিঝিলের আশরাফ আলী সম্প্রতি ইএনটি বিভাগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন। এ তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, একই অধ্যাপককে চেম্বারে দেখাতে গেলে চারগুন ফি গুনতে হতো। রোগীদের কথা চিন্তা করে আরো বেশি রোগী দেখার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন হলে মন্তব্য করেন তিনি।
নিউজ ডেস্ক ||আপডেট: ০৭:২১ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০১৫, মঙ্গলবার
এমআরআর