বিশেষ সংবাদ

১ সন্তানের বাবা রনি এখন গৃহবধু রহিমা

চাঁদপুর টাইমস, বগুড়া:
বগুড়া সদর উপজেলার নিশিন্দারা ইউনিয়নের দশটিকা উত্তরপাড়া গ্রামের বুলু মেকারের ছেলে রনি মিয়া ২০ বছর বয়সে ঢাকায় মারুফা নামে এক মেয়েকে বিয়ে করেন। এরপর ঢাকাতেই শুরু করেন সংসার জীবন। এক সময় তাদের ঘর আলো করে জন্ম নেয় একটি কন্যা সন্তান। মেয়ের নাম রাখেন মিম। বর্তমানে মিমের বয়স চার বছর। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভালোই চলছিল তাদের সংসার।

কিন্তু দ্বিতীয় সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা যান স্ত্রী মারুফা। এরপর দ্বিতীয় বিয়ে করেন রনি। তবে বিয়ের কিছু দিন পর শারীরিক অক্ষমতার কারণে দ্বিতীয় স্ত্রী রনিকে ছেড়ে চলে যান। এরপর থেকেই রনির শারীরিক পরিবর্তন স্পষ্ট হতে থাকে।

ধীরে ধীরে এক সন্তানের জনক রনি মিয়া পুরুষ থেকে নারীতে রূপান্তরিত হতে থাকেন। এখন তাকে দেখলে নারী বলেই মনে হবে। তাই রনি নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে রহিমা আক্তার।

রনির পারিবার জানায়, শরীরে অস্বাভাবিক পরিবর্তন ঘটতে থাকলে গত ২০ আগস্ট থেকে মেয়েদের পোষাক পরা শুরু করে রনি।

নারীতে রূপান্তরিত রনি বলেন, ‘আমি মেয়ে হয়ে খুশি হয়েছি। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।’

রনির বাবা-মা জানান, তাদের ছেলে ছোট থেকেই মেয়েলি স্বভাবের ছিল। সে মাঝে মাঝে মেয়েদের পোশাক পরে চলাফেরা করতো। বিয়ে বাড়িতে নাচ গান করতো। ৮-৯ মাস আগে থেকে তার দৈহিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু সম্মানের ভয়ে বিষয়টি এতদিন প্রকাশ করেননি তারা।

নারীতে রূপান্তরিত হওয়ার পর থেকে রনি গোকুলের পূর্ব পলাশবাড়িতে তার এক বন্ধুর বাড়িতে রয়েছেন। জনৈক আপেল হোসেনকে বিয়ে করে সেখানেই নতুন জীবন শুরু করেছেন তিনি। যদিও এলাকাবাসী ঘটনাটিকে দেখছেন ভিন্ন চোখে।

এ ব্যাপারে রনির বন্ধু ফরিদুল জানান, ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হরমন বিশেষজ্ঞ ডা. এম হাসনাতের অধীনে রনির চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, পুরুষ থেকে নারীতে রূপান্তরের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই রনির বাড়িতে উৎসুক মানুষের ভিড় বেড়েছে। তাকে এক নজর দেখার জন্য অনেকেই ছুটে যাচ্ছেন সেখানে।

Share