সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আলাদা তিনটি লটে ৯০ হাজার মে. টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার। এ জন্য সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন চূড়ান্ত হয়েছে।পাশাপাশি দেশীয় কোম্পানি কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড-কাফকো থেকে আলাদা লটে আরও ৩০ হাজার মে.টন ইউরিয়া কেনার প্রস্তাবও চূড়ান্ত করা হয়েছে।
বুধবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় কমিটির বৈঠকে এসব অনুমোদন চূড়ান্ত করা হয়। এতে প্রায় ৫৩১ কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান। বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে তিনি জানান, সব মিলে ১ লাখ ২০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনতে যাচ্ছে সরকার।
তিনি আরও জানান, রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরবের সাবিক অ্যাগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে দ্বিতীয় লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া কিনতে মোট ব্যয় হবে ১৩২ কোটি ২৭ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। কাতারের মুনতাজাত থেকে তৃতীয় লটে ৩০ হাজার মে/ টন ইউরিয়া কিনতে ব্যয় হবে ১৩৬ কোটি ৫৬ লাখ ৩৯ হাজার টাকা।
এ ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড থেকে একই পরিমাণ ইউরিয়া সার কিনতে খরচ গুনতে হবে ১৩২ কোটি ২৭ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। অন্যদিকে দেশীয় কোম্পানি কাফকো থেকে একই পরিমাণ ইউরিয়া সার কিনতে খরচ কিছুটা কমে দাঁড়াবে ১২৯ কোটি ৮৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
এ ছাড়া ক্রয় কমিটির বৈঠকে পদ্মা বহুমুখী সেতুর তৃতীয় সংশোধিত প্রকল্পের নদী শাসন কাজের প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যেখানে মোট ব্যয় হবে ৮৭৭ কোটি ৫৩ লাখ ৫১ হাজার টাকা।
একই বৈঠকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সরবরাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যেখানে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৪৩ কোটি টাকার কিছুটা বেশি। সরকার আশা করছে, এতে সময় ক্ষেপণ কমিয়ে দেশে দ্রুত এলএনজি আমদানি করা সম্ভব হবে।
অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বৈঠকে এদিন দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকায় ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের ট্যারিফ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আগামী ২০ বছর মেয়াদে যেখানে ব্যয় হবে ৭ হাজার ১৬৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা। সংশ্লিষ্টদের আশা এর ফলে সরকারের অন্যতম বৃহৎ এ প্রকল্পের আধুনিকায় জোরদার হবে।
সব মিলে অনুমোদন পাওয়া ১৪টি প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়াবে ১৬ হাজার ৮৩ কোটি ২১ লক্ষ টাকা। যার মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে ১৪ হাজার ২৮৪ কোটি টাকা। বাকি ১ হাজার ৭৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ের জন্য দেশীয় ব্যাংক ও বৈদেশিক অর্থায়নের কথা জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
এজি