১৯ হাজার ৮০৩ কোটি টাকার সম্পূরক বাজেট পাস

চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাজেট বরাদ্দের চেয়ে ৩৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ অতিরিক্ত ব্যয় করায় আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ১৯ হাজার ৮০৩ কোটি ৬২ লাখ ৮৮ হাজার টাকার সম্পূরক বাজেট পাস হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ-সম্পর্কিত নির্দিষ্টকরণ (সম্পূরক) বিল ২০১৬ উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।

২০১৫-১৬ অর্থবছরের মূল বাজেটে ৫৯টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অনুকূলে নিট ২ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। সংশোধিত বাজেটে ৩৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বরাদ্দ ১৯৮০৩ দশমিক ৬৩ কোটি টাকা বেড়েছে। ২১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বরাদ্দ ৪৭১২০ দশমিক ১১ কোটি টাকা হ্রাস পেয়েছে।

বিলের ওপর বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র সাংসদের দেওয়া ছাঁটাই প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়। সদস্যরা মোট ১৯০টি ছাঁটাই প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে ব্যাংক ও আর্থিক বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের মঞ্জুরি দাবি নিয়ে আলোচনা হয়।চলতি অর্থবছরের কাজের জন্য মন্ত্রণালয়গুলোকে সংযুক্ত তহবিল থেকে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ দেওয়ায় তা অনুমোদনের জন্য সম্পূরক বিলটি পাস করা হয়।

বিলে ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের জন্য ২৩৮ কোটি টাকার দাবি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর বিরোধিতা করে স্বতন্ত্র সাংসদ রুস্তম আলী ফরাজী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি স্বতন্ত্র কমিশন গঠনের দাবি জানান।

জাতীয় পার্টির সাংসদ ফখরুল ইমাম বলেন, ১০০ কোটি টাকা চুরি হয়েছে। দাবি ২০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ চুরির দ্বিগুণ। এখন আবার বেশি বরাদ্দ দেওয়ার দাবি উঠেছে। বরং টাকা কম দিলে চুরি কম হবে।
জবাবে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘এ খাতে অনেক দোষত্রুটি আছে। আমি আশ্বস্ত করতে চাই, এমন কিছু ঘটেনি যে এসব প্রতিষ্ঠানকে ধুয়েমুছে ফেলতে হবে।’
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য ২ হাজার ৩০৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা মঞ্জুরির দাবি করেন সংসদে এই কাজে এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আনিসুল হক।
এর ওপর দেওয়া ছাঁটাই প্রস্তাবে রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, অনেকের মধ্যে ধারণা, এই খাতে টাকা স্বচ্ছভাবে খরচ হয় না। মন্ত্রীর উচিত বিষয়গুলো পরিষ্কার করা। ফখরুল ইমাম বলেন, সশস্ত্র বাহিনী আলংকারিক বাহিনী। সেতুমন্ত্রী তাদের হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়েছেন। কিন্তু তাদের কাজে কোনো স্বচ্ছতা নেই।
জবাবে আনিসুল হক বলেন, এই খাতের সব টাকা নিরীক্ষিত। স্বচ্ছতার অভাব নেই।
এ ছাড়া উল্লেখযোগ্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন্য ৩ হাজার ৫৭৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য ৩ হাজার ১৫৩ কোটি ৩১ লাখ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য ২ হাজার ৩৪৩ কোটি ২৩ লাখ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য ২ হাজার ১১৪ কোটি ৯২ লাখ, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের জন্য ৪৭৩ কোটি ৮০ লাখ, স্থানীয় সরকার বিভাগের জন্য ৩৪৯ কোটি ২৫ লাখ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জন্য ৬৪৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, সড়ক পরিবহন বিভাগের জন্য ৯০৩ কোটি ৩৭ লাখ ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জন্য ৬৫০ কোটি ১৪ লাখ টাকার মঞ্জুরি দাবি অনুমোদন করা হয়।(প্রথমআলো)

নিউজ ডেস্ক : আপডেট৪:১৪ পিএম, ০৭ জুন ২০১৬, মঙ্গলবার

এইউ

Share