আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী চূড়ান্ত করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ওই দিন আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার/ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ডের সভায় প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। এ জন্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ইউনিয়ন থেকে একজন প্রার্থীর নাম কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডে পাঠাতে বলা হয়েছে।
এ উপলক্ষে ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার/ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ডের এক সভা আহ্বান করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও স্থানীয় সরকার/ইউনিযন পরিষদ নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আগামী ২২ মার্চ প্রথম ধাপে ৭৫২টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মোট ছয় ধাপে ৪,২৭৫টি ইউনিয়নে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন আগামী ২২ ফেব্রুয়রি। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন আগামী ২ মার্চ।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা মাঠে নেমে প্রচার চালাচ্ছেন। সেই সঙ্গে দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রীয় ও মনোনয়ন বোর্ডের নেতাদের কাছে ধর্না দিচ্ছেন প্রার্থীরা।
দলীয় ভিত্তিতে নির্বাচনের আইন হওয়ায় এবারই প্রথম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হবে। তাই দলীয় মনোনয়ন পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন আওয়ামি লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
ইতোমধ্যেই ইউপিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নের প্রক্রিয়া ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা বসে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনীত করে কেন্দ্রে নাম পাঠাবেন। একজন না পারলে একাধিক নামও পাঠাতে পারেন। কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড তৃণমূল থেকে পাঠানো নামের ভিত্তিতে মনোনয়ন চূড়ান্ত করে নৌকা মার্কা প্রতীক বরাদ্দ দেবে।
এদিকে ইউপিতে প্রার্থী মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় স্থানীয় এমপিদের রাখা হয়নি। পৌরসভায় এমপিদের রাখা হয়েছিলো। এতে কিছু জটিলতা দেখা দেয়। বিশেষ করে এমপিরা তাদের নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ওই নির্বাচনে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এছাড়া দলের বেশকিছু বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলো ওই নির্বাচনে। বিদ্রোহী প্রার্থীদের এমপিরা মদদ দিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ কারণেই ইউপিতে মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় এমপিদের রাখা হয়নি।
ইউনিয়ন পরিষদের প্রার্থী মনোনয়নে যে প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করে দেওয়া হয়েছে তা হলো, জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক এবং যে ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকদের সমন্বয়ে ৬ জনের একটি নির্বাচনী বোর্ড গঠিত হবে।
ইউনিয়ন কমিটি ওয়ার্ড কমিটির নেতাদের সঙ্গে বর্ধিত সভা করে একজন প্রার্থীর নাম সুপারিশ করবে। সেই সুপারিশকৃত নাম উল্লিখিত জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকদের সমন্বয়ে গঠিত নির্বাচনী বোর্ড (৬ জনের নাম ও স্বাক্ষর) প্রার্থী চূড়ান্ত করে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ের দপ্তর বরাবর পাঠাবে।
মনোনীত প্রার্থীর নাম (ভোটার নং ১২ ডিজিট) এবং নির্বাচনী আইন, নীতিমালা ও বিধিমালা অনুযায়ী সব তথ্য প্রার্থীর নামের সঙ্গে পাঠাতে হবে। সেই সঙ্গে প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি পাঠানো বাধ্যতামূলক। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচিত স্থানীয় সরকার/ইউনিয়ন পরিষদ মনোনয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম ও প্রতীক বরাদ্দ করবে।
নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০৮:১৬ অপরাহ্ন, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, শুক্রবার
এমআরআর