সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা ড.আনম এহসানুল হক মিলন বলেছেন, বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বর্তমান জি জেনারেশন বাংলাদেশকে স্বৈরশাসক থেকে এ দেশকে পুনরায় স্বাধীন করেছে। বিগত ১৬ বছর বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার ছিলো না। ওই সময় নির্বাচন কমিশনার আইন থাকা সত্বেও তারা আইনের প্রয়োগ করেনি,ফলে সাধারন মানুষের ভোটের অধিকার ছিলো না। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে জেল খাটিয়েছে। আমি জেলখানা থেকে অনেকগুলো বই লেখেছি কিন্তু প্রকাশ করতে পারেনি। যদি প্রকাশ করতাম তাহলে আমার বিরুদ্ধে আরো অনেকগুলো মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে জেলখানা রেখে অমানবিক নির্যাতন করতো। ২০০১ সালে বেগম খালেদা জিয়া আমাকে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করেন। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক উন্নতি করে আমি নকলমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে ছিলাম। বিনিময়ে আওয়ামীলীগ স্বৈরাচারী শাসন আমলে হামলা মামলার শিকার হয়েছি। ওই শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিগত ১৬ বছর শিক্ষা খাতকে স্বৈরাচারী আমলে ধ্বংস করে দিয়েছে। মানুষ যেনো ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়া দরকার আগামীতে নিরীহ মানুষকে কোন মিথ্যা মামলা দিয়ে আর যেন হয়রানি না করে। বিগত আওয়ামীলীগ সরকার আমলে নাম পরিবর্তনের সংস্কৃতি চালু করে আমার পিতা-মাতা ও আমার নামের প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের নামকরন পরিবর্তন করেছে, যা কচুয়ার মানুষ মেনে নেয়নি।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ দোষররা ইসকন সংগঠনকে ব্যবহার করে বাংলাদেশে একটি অস্থিশীল অবস্থা তৈরী করার পাঁয়তারা করছে। বিএনপি আগামী নির্বাচনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনে মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসবে এবং দেশ সুন্দরভাবে দেশ পরিচালনা করবে। কোন সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ এই কচুয়াতে আর থাকবে না। আগামী ৫০ বছর স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার আর ক্ষমতা আসবে না জনগণ তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে। কাদলা ইউনিয়নের মনপুরার গ্রামের মিজানকে যারা হত্যা করেছে তাদের সবাইকে আমি আইনের আওয়তায় এনে বিচার করবো ইনশাল্লাহ।
তিনি শনিবার বিকেলে আশেক আলী খান উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ মাঠে কাদলা ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের একাংশের আয়োজনে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা গুলো বলেন।
কাদলা ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু মাস্টারের সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মো. সোহেল আহমেদ ও উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আব্দুল কাহার মজুমদারের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজমুন নাহার বেবি, উপজেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল আবেদীন স্বপন, সাবেক সাধারন সম্পাদক শাহ জালাল প্রধান, যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক ইউসুফ মিয়াজী, মাসুদ এলাহী সুভাষ,কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-ত্রান বিষয়ক সম্পাদক শিল্পি আক্তার, উপজেলা বিএনপির নির্বাহী সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান তামীম, পৌর বিএনপির সভাপতি বিল্লাল হোসেন মজুমদার, সাধারন সম্পাদক আলমগীর হোসেন সেলিম পাটওয়ারী, জাতীয়তাবাদী ছাত্র আইন ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক এম.আবু ফয়েজ, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক এবায়েদ তালুকদার, যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক আলমগীর হোসেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাঈন উদ্দিন মজুমদার মানিক, উপজেলা যুব দলের সভাপতি আ:সালাম শান্ত, সাধারন সম্পাদক হাবীব উন নবী সুমন, পৌর যুবদলের সভাপতি সফিকুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক কাজী ফরহাদ, উপজেলা যুবদল নেতা আব্দুর রাজ্জাক, মহিলা দলের নেত্রী গাজী শাহিন, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রধান সমন্বয়ক আরিফুল ইসলাম, উপজেলা যুব দলের সহ-সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম,উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইসমাইল হোসেন আবেগ,পৌর ছাত্র দলের সভাপতি শরিফুল ইসলাম,ইউনিয়ন যুব দলের সাধারন সম্পাদক কালিম উল্যাহ অনিক, সি.সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান,যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক মাসুম মিয়াজী, উপজেলা ছাত্র দলের সহ-সভাপতি রনি তালুকদার,শরীফুল ইসলাম,সহ-সাধারন সম্পাদক নুরুল ইসলাম নাহিদ, সহ-সাধারন সম্পাদক নুরুল আফসার দিপু,ইফতেখার আলম অভি, উপজেলা যুব দলের সদস্য সোহাগ মিয়াজী,ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মো.নজরুল ইসলাম, সি.সহ-সভাপতি শাহাদাত হোসেন, সাধারন সম্পাদক কাকন, যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক গোলাম রাব্বি শামীম, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক নাঈম হোসেন,ইউনিয়ন সহ-সমন্বয়ক সোহেল তানভীর প্রমুখ। এসময় উপজেলা,ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে নেতাকর্মী এবং দলীয় সমর্থকগন উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু,১ ডিসেম্বর ২০২৪