বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সড়ক ভবনে আয়োজিত ১৫০ সেতু, ১৪টি ওভারপাস ও নবনির্মিত অন্যান্য অবকাঠামোর শুভ উদ্বোধন করেন।
নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির কর্মকাণ্ডে নজর রাখার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, “এদের কথা, এদের কাজ সবই ধ্বংসাত্মক। এ ব্যাপারে দেশবাসীকে আমি সতর্ক করব। আজকের উন্নয়ন ধ্বংস করুক, সেটা আমরা চাই না।”
তিনি বলেন, “বিএনপি এখন নির্বাচন নিয়ে কথা বলে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে তারা নানান কথা বলে। আমি এখন সমালোচনা করতে চাই না। আমরা অনেক ভালো কাজ করেছি, ভালো কথাই বলতে চাই। “বিএনপি-জামায়াত আন্দোলন করছে ঠিক আছে। যদি এখনো তারা বাসে আগুন দিতে চায়, আমি বলে দিয়েছি, যারা বাসে আগুন দিবে, সঙ্গে সঙ্গে যে ব্যবস্থা নেওয়ার তাই নেবে, যেন মানুষের ক্ষতি করতে না পারে। আবারো অগ্নি সন্ত্রাস করতে না পারে। “আন্দোলন করুক, আমাদের আপত্তি নাই। আমি তো সারাজীবন আন্দোলন করে, তারপর ক্ষমতায় এসেছি। কিন্তু মানুষের ক্ষতি করা, এটা যেন করতে না পারে। সে ক্ষেত্রে আপনার সকলের সতর্ক থাকুন।”
সড়কে চলতে গিয়ে চালকদের আরো সতর্ক হওয়ার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, “যারা বাস, ট্রাক, গাড়ি চালায়, তাদের অস্বাভাবিক যে প্রতিযোগিতা, ওভারটেক করার যে প্রতিযোগিতা, এটা বন্ধ করতে হবে। দুর্ঘটনা রোধে রাস্তায় অস্বাভাবিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা বন্ধ করতে হবে। এজন্য আপনাদের ড্রাইভারদের ভালো ভাবে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। বাস ও ট্রাকের চালক ও যাত্রীরা যাতে বিশ্রাম নিতে পারেন, সেজন্য মহাসড়কে কয়েক কিলোমিটার পরপর বিশ্রামাগার করার কথা প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বলেন। তিনি জানান, ইতোমধ্যে কয়েকটি জায়গায় বিশ্রামাগার হয়েছে, পর্যায়ক্রমে আরো করা হবে।
অন্যদের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান, সড়ক ও মাহসড় বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী ও সওজের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভার্চুয়ালী পোগ্রামটি সম্প্রচার করা হয়। এসময় জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশির আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্রীমা চাকমা, স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী, পুরাণবাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, চাঁদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত আহমেদ মজুমদার, উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রজত শুভ্র সরকার, জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নূর হোসেন রুবেলসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৫০ সেতুর মধ্যে চাঁদপুর জেলায় একটি মাত্র সেতু ছিল। যা জেলার শাহরাস্তি উপজেলায় নির্মিত বাংলাইশ সেতু। যার দৈর্ঘ্য ২৮.৭৮ মিটার, প্রস্থ ১০.২৫ মিটার। যার ব্যয় ধরা হয় ৪ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা।
প্রতিবেদক: মাজহারুল ইসলাম অনিক, ১৯ অক্টোবর ২০২৩