১৩ টি বছর ধরে প্রবাসে থেকে মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তানের খবর না নিয়ে প্রায় ২৫ লাখ টাকা পরকিয়া প্রেমের পেছনে শেষ করে এখন কারাবাসে সৌদি প্রবাসী আব্দুল্লা।
এক যুগ পর দেশে এসে দেখে কিসের প্রেম-ভালোবাসা, আর কাকে দিয়েছে লাখ লাখ টাকা। স্বীকার তো দূরে থাক উল্টো প্রাণহানীর ঘটনায় নিজের জীবন রক্ষা করতে গিয়ে এখন কারাবাসে যেতে হয়েছে প্রবাসী আব্দুল্লাকে।
এদিকে পরিবারের লোকজন গত ১৩ টি বছর টাকা কড়ি না পেলেও প্রিয় মানুষটি দেশে ফিরেছেন এটিই তাদের জন্যে বড় আনন্দের হয়ে ওঠতো। কিন্তু তাকে কাছে না পেয়ে কান্নায় বুক ভাসাচ্ছেন পরিবারটি।
আর এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৬নং গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের ষোলদানা বেপারী বাড়ীর কালু মিয়ার ছেলে সৌদি প্রবাসী আব্দুল্লার পরিবারে।
জানা যায়, গত ১৩ বছর পূর্বে কালু বেপারীর ছেলে আব্দুল্লাহ ধার দেনা করে সদ্য বিবাহিত ও অন্ত:স্বত্তা স্ত্রী অজুফা বেগমকে রেখে সৌদি আরব যায় কর্মের সন্ধানে। যাওয়ার দুই বছর পর থেকে আব্দুল্লাহ মোবাইল ফোনে একই উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের চরমুথরা গ্রামের আব্দুল জব্বার মোল্লার মেয়ে শিউলীর সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে।
প্রেমে আসক্ত হয়ে প্রবাসী আব্দুল্লা শিউলী ও তার মায়ের বিকাশে দেদারছে নগদ অর্থ দিয়ে আসে। প্রেমিকাকে বিয়ে করার আশায় গত রমজান মাসে দেশে আসে আব্দুল্লাহ। দেশে এসে আব্দুল্লা জানতে পারে তার প্রেমিকার বিয়ে অন্যত্র হয়ে গেছে।
এতো বছরের প্রেম ভাঙ্গলে সে তার পাঠানো অর্থ থেকে কিছু টাকা পেরত চায়। আর এতে করে শিউলীর পরিবার পরিকল্পিত নাটক সাজিয়ে তাকে টাকা নেওয়ার কথা বলে গত ঈদুল ফিতরের দু’দিন পর তাদের বাড়ীতে আসতে বলে।
প্রবাসী আব্দুল্লা প্রেমিকার বাড়িতে গিয়ে দেখে শিউলি ও তার পরিবার টাকা দেওয়ার নাম করে তার প্রাণনাসের প্রস্ততি নিচ্ছে। এ সময় আব্দুল্লা চিন্তায় পড়ে যায় যে এতো বছরের উপার্জিত টাকা দিয়ে স্বর্বশান্ত হয়েছি এখন নিজের জীবনও চলে যাবে?
এ ভেবে সে উল্টো রাগান্তিত হয়ে প্রেমিকা শিউলিকে ঘরের দা দিয়ে কোপ দেয়। এ সময় শিউলির মা, বাবা, বোনসহ বাড়ীর লোকজনের ডাক-চিৎকারে ফেঁসে যায় প্রবাসী আব্দুল্লা।
পরে এলাকাবাসী আব্দুল্লাকে আটক করে থানায় খবর দিলে পুলিশ আব্দুল্লাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে থানার লকাপে রাখে।
ঘটনার দিন রাতেই শিউলির পিতা জব্বার মোল্লা বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে। বর্তমানে ঐ মামলায় আব্দুল্লা কারাগারে জীবন যাপন করছেন বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে আব্দুল্লা জানায়, শিউলী ও তার মা খাদিজা বেগম তার সাথে প্রতারণা করেছে। প্রেমে জড়িয়ে পড়ে সে বিয়ের আশায় প্রবাস থেকে প্রায় ২৪/২৫ লাখ টাকা তাদের বিকাশ একাউন্টে পাঠিয়েছে।
দেশে এসে দেখি শিউলী ও তার পরিবার আমার সাথে প্রতারণা করেছে এবং টাকা দেওয়ার কথা বলে বাড়িতে নিয়ে আমার প্রাণনাশের চেষ্টায় কাজ করতেছে। বিষয়টি আমি টের পেয়ে প্রেমিকা শিউলীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আঘাত করেছি। এ সুযোগে তারা আমাকে আটকিয়ে পুলিশের হাতে দিয়েছে।
আব্দুল্লার মা রোকেয়া বেগম ও আব্দুল্লার স্ত্রী অফুজা বলেন, প্রবাসে ১৩ বছরে আমাদেরকে কোন টাকা দেওয়াতো দূরে থাক খোজখবরও নেয়নি। শুনেছি শিউলী নামের একটি মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে সেখানে প্রায় ২৫ লাখ টাকা পাটিয়েছে।
দেশে আসার পর আব্দুল্লাহর চলার মতো কোন টাকা ছিল না। শিউলীর পরিবারের কাছে কিছু টাকা চাইলে তারা ঈদের পর যেতে বলে। সেখানে গিয়ে শুনি তারা এমন ঘটনা ঘটিয়ে আব্দুল্লাকে কারাগারে পাটিয়েছে।
এখন আমাদের একটাই চাওয়া টাকা পয়শার মূখ দেখি নাই, এতে কোন দুঃখ নেই। তবে আব্দুল্লা যেন আমাদের কাছে ফিরে আসে। এ জন্য আমরা প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৩ বছরের প্রবাস শেষে কারাবাসে ফরিদগঞ্জের আব্দুল্লা!
১৩ টি বছর ধরে প্রবাসে থেকে মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তানের খবর না নিয়ে প্রায় ২৫ লাখ টাকা পরকিয়া প্রেমের পেছনে শেষ করে এখন কারাবাসে সৌদি প্রবাসী আব্দুল্লা।
এক যুগ পর দেশে এসে দেখে কিসের প্রেম-ভালোবাসা, আর কাকে দিয়েছে লাখ লাখ টাকা। স্বীকার তো দূরে থাক উল্টো প্রাণহানীর ঘটনায় নিজের জীবন রক্ষা করতে গিয়ে এখন কারাবাসে যেতে হয়েছে প্রবাসী আব্দুল্লাকে।
এদিকে পরিবারের লোকজন গত ১৩ টি বছর টাকা কড়ি না পেলেও প্রিয় মানুষটি দেশে ফিরেছেন এটিই তাদের জন্যে বড় আনন্দের হয়ে ওঠতো। কিন্তু তাকে কাছে না পেয়ে কান্নায় বুক ভাসাচ্ছেন পরিবারটি।
আর এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৬নং গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের ষোলদানা বেপারী বাড়ীর কালু মিয়ার ছেলে সৌদি প্রবাসী আব্দুল্লার পরিবারে।
জানা যায়, গত ১৩ বছর পূর্বে কালু বেপারীর ছেলে আব্দুল্লাহ ধার দেনা করে সদ্য বিবাহিত ও অন্ত:স্বত্তা স্ত্রী অজুফা বেগমকে রেখে সৌদি আরব যায় কর্মের সন্ধানে। যাওয়ার দুই বছর পর থেকে আব্দুল্লাহ মোবাইল ফোনে একই উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের চরমুথরা গ্রামের আব্দুল জব্বার মোল্লার মেয়ে শিউলীর সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে।
প্রেমে আসক্ত হয়ে প্রবাসী আব্দুল্লা শিউলী ও তার মায়ের বিকাশে দেদারছে নগদ অর্থ দিয়ে আসে। প্রেমিকাকে বিয়ে করার আশায় গত রমজান মাসে দেশে আসে আব্দুল্লাহ। দেশে এসে আব্দুল্লা জানতে পারে তার প্রেমিকার বিয়ে অন্যত্র হয়ে গেছে।
এতো বছরের প্রেম ভাঙ্গলে সে তার পাঠানো অর্থ থেকে কিছু টাকা পেরত চায়। আর এতে করে শিউলীর পরিবার পরিকল্পিত নাটক সাজিয়ে তাকে টাকা নেওয়ার কথা বলে গত ঈদুল ফিতরের দু’দিন পর তাদের বাড়ীতে আসতে বলে।
প্রবাসী আব্দুল্লা প্রেমিকার বাড়িতে গিয়ে দেখে শিউলি ও তার পরিবার টাকা দেওয়ার নাম করে তার প্রাণনাসের প্রস্ততি নিচ্ছে। এ সময় আব্দুল্লা চিন্তায় পড়ে যায় যে এতো বছরের উপার্জিত টাকা দিয়ে স্বর্বশান্ত হয়েছি এখন নিজের জীবনও চলে যাবে?
এ ভেবে সে উল্টো রাগান্তিত হয়ে প্রেমিকা শিউলিকে ঘরের দা দিয়ে কোপ দেয়। এ সময় শিউলির মা, বাবা, বোনসহ বাড়ীর লোকজনের ডাক-চিৎকারে ফেঁসে যায় প্রবাসী আব্দুল্লা।
পরে এলাকাবাসী আব্দুল্লাকে আটক করে থানায় খবর দিলে পুলিশ আব্দুল্লাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে থানার লকাপে রাখে।
ঘটনার দিন রাতেই শিউলির পিতা জব্বার মোল্লা বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে। বর্তমানে ঐ মামলায় আব্দুল্লা কারাগারে জীবন যাপন করছেন বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে আব্দুল্লা জানায়, শিউলী ও তার মা খাদিজা বেগম তার সাথে প্রতারণা করেছে। প্রেমে জড়িয়ে পড়ে সে বিয়ের আশায় প্রবাস থেকে প্রায় ২৪/২৫ লাখ টাকা তাদের বিকাশ একাউন্টে পাঠিয়েছে।
দেশে এসে দেখি শিউলী ও তার পরিবার আমার সাথে প্রতারণা করেছে এবং টাকা দেওয়ার কথা বলে বাড়িতে নিয়ে আমার প্রাণনাশের চেষ্টায় কাজ করতেছে। বিষয়টি আমি টের পেয়ে প্রেমিকা শিউলীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আঘাত করেছি। এ সুযোগে তারা আমাকে আটকিয়ে পুলিশের হাতে দিয়েছে।
আব্দুল্লার মা রোকেয়া বেগম ও আব্দুল্লার স্ত্রী অফুজা বলেন, প্রবাসে ১৩ বছরে আমাদেরকে কোন টাকা দেওয়াতো দূরে থাক খোজখবরও নেয়নি। শুনেছি শিউলী নামের একটি মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে সেখানে প্রায় ২৫ লাখ টাকা পাটিয়েছে।
দেশে আসার পর আব্দুল্লাহর চলার মতো কোন টাকা ছিল না। শিউলীর পরিবারের কাছে কিছু টাকা চাইলে তারা ঈদের পর যেতে বলে। সেখানে গিয়ে শুনি তারা এমন ঘটনা ঘটিয়ে আব্দুল্লাকে কারাগারে পাটিয়েছে।
এখন আমাদের একটাই চাওয়া টাকা পয়শার মূখ দেখি নাই, এতে কোন দুঃখ নেই। তবে আব্দুল্লা যেন আমাদের কাছে ফিরে আসে। এ জন্য আমরা প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট