টানা ১২ দিন বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ টিকটক ও ইউটিউবসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ক্যাশ সার্ভার খুলে দেওয়া হয়েছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে গত ১৭ জুলাই রাতে দেশে মোবাইল ইন্টারনেট এবং ১৮ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ফেসবুক-টিকটকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর পাঁচদিন পর ব্রডব্যান্ড ও ১০ দিন পর মোবাইল ইন্টারনেট চালু হলেও বন্ধ ছিল ফেসবুক, টিকটকসহ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।
অবশেষে আজ বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুর ২টার পর থেকে বাংলাদেশ থেকেও স্বাভাবিক নিয়মে ব্যবহার করা যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো।
ব্রডব্যান্ড সংযোগ চালুর পর থেকে অবশ্য ভিপিএন ব্যবহার করে একটি বড় সংখ্যক মানুষ ফেসবুক ও বন্ধ থাকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো ব্যবহার করতে পেরেছেন। পুরো সময়টা ফেসবুকে সক্রিয় ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকও।
কোটা আন্দোলনের সময়ের কিছু ভিডিও কন্টেন্টের বিষয়ে সশরীরে হাজির হওয়ার জন্য ফেসবুককে তলব করা হলেও শেষ পর্যন্ত তারা বিটিআরসিতে আসেননি।
পরে অনলাইনেই মেটার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিটিআরসি ভবনে তিনি এ বৈঠক করেন। এ সময় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
চাঁদপুর টাইমস ডেস্ক/৩১ জুলাই ২০২৪