চাঁদপুরের রামদাসদি আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘরে মা আর সৎ বাবাকে নিয়ে থাকত রাব্বি। কিন্তু জীবিকার তাগিদে ১১ বছর বয়সেই পরিবার ছেড়ে ঢাকার চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালের ক্যান্টিনে কাজ নেয় সে।
শনিবার জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে সাধারণ রোগীর মতো ১০ টাকায় টিকেট কেটে চোখের চিকিৎসা নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় হাসপাতাল ছাড়ার আগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজন, চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারীসহ সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
তখনই ভিড়ের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা ১১ বছরের শিশু রাব্বিকে দেখে এগিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার জানান, প্রধানমন্ত্রী তখন রাব্বির কাছে জানতে চান- সে কী করে, কার সঙ্গে হাসপাতালে এসেছে, কোন ক্লাসে পড়ে?
১১ বছরের রাব্বি জানায়, সে চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালের ক্যান্টিনে কাজ করে। সেখানেই থাকে। তার বাবা মারা গেছেন। মা রাবেয়া বেগম সুতার কারখানায় কাজ করত। এখন চাঁদপুরে রাম দাসদি আশ্রয়ণ-এর ৮/৩ নং ঘরে থাকে। রাব্বির সৎ বাবা জাহাঙ্গীর আলম দিনমজুর।
ক্যান্টিনে কাজ নেওয়ার আগে দ্বিতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছে রাব্বি; আরও পড়াশোনা করার আগ্রহের কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানালে তিনি তখন সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন বলে তুষার জানান।
ছোট্ট শিশুটি প্রধানমন্ত্রীকে বলে, “আমি চাঁদপুরে মায়ের কাছে যেতে চাই। আবার পড়াশোনা করতে চাই।”
উপ প্রেস সচিব বলেন, “মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী আবেগাপ্লুত হন রাব্বির কথা শুনে। তিনি ছোট্ট রাব্বির দায়িত্ব নেন। সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।”
টাইমস ডেস্ক/১৬ জুলাই ২০২৩