আন্তর্জাতিক

১১ বছরের মধ্যে এবারই সর্বনিম্ন তেলের দাম

আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের ব্যারেলপ্রতি দর ৩৫ ডলারের নিচে নেমে এসেছে। এটি গত ১১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন দর। ডিসেম্বরের তুলনায় আরও ৪.২ শতাংশ দর কমে ব্র্যান্ট তেলের দর নেমে ৩৪.৮৮ ডলারে নেমে গেছে।

২০০৪ সালের ১ জুলাইয়ের পর এটিই তেলের সর্বনিম্ন দর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তেলের দর ৩.৩ শতাংশ কমে ৩৪.৭৭ ডলারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে তেলের দর আরও কমে ২০ ডলারে নেমে যেতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছে গোল্ডম্যান স্যাকস।

অবশ্য ওপেকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামী ২০২০ সালে ৭০ ডলারে পৌঁছবে তেলের দর। যদিও বেশির ভাগ বিশ্লেষকের ধারণা, চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে তেলের বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে। এ সময়ের মধ্যে ওপেক বহির্ভূত দেশসমূহের তেলের উৎপাদন কমে যাবে। কিন্তু তেলের চাহিদা বেড়ে যাবে। চাহিদা বাড়ার কারণেই দর বাড়বে।

সোমবার ইরানের সঙ্গে সৌদি আরবের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণার পর তেলের দর কিছুটা বেড়ে যায়। সম্পর্ক ছিন্ন করার ফলে তেলের সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু তেল উৎপাদনকারী দেশসমূহের সংগঠন ওপেকের পক্ষ থেকে নির্ধারিত কোটা অনুয়ায়ী তেল উৎপাদনের ঘোষণা পুনর্ব্যক্ত করায় তেলের বাজারে ফের পতন দেখা দিয়েছে। সাধারণত তেলের দর কমে গেলে সরবরাহ কমিয়ে দর ঠিক রাখা হয়।

নিউজ ডেস্ক ।। আপডেট : ০৩:০০ এএম, ০৯ জানুয়ারি ২০১৫, শনিবার
ডিএইচ

Share