জাতীয় শিক্ষক-কর্মচারী ফ্রন্ট চাঁদপুর জেলা শাখার আয়োজনে বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বিকেল ৫ টায় চাঁদপুর শহরের কালিবাড়ি মোড় শপথ চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
এতে জাতীয় শিক্ষক কর্মচারী ফ্রন্ট চাঁদপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক অধ্যক্ষ শাফায়াৎ আহমদ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও বাকশিস নেতা অধ্যক্ষ মেসবাহ উদ্দিন এবং মাধ্যমকি শিক্ষক নেতা মো. বিল্লাল হোসেনের যৌথ পরিচালনায় বক্তব্যে রাখেন, বাকশিসের কেন্দ্রিয় সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. রুহুল আমিন, কেন্দ্রিয় শিক্ষা গবেষণা সম্পাদক,অধ্যক্ষ হারুন আর রশিদ, কেন্দ্রিয় সমাজ কল্যাণ সম্পদক অধ্যাপক মোশারফ হোসেন, অধ্যক্ষ এম এ মালেক, অধ্যক্ষ শামসুদ্দিন আহমেদ, অধ্যক্ষ মনিরুল বহক পাটোয়ারী, অধ্যক্ষ আজহারুল কবির, অধ্যাপক মাসুদ তালুকদার, অধ্যাপক শফিউল আলম শাজাহান, অধ্যক্ষ আলমগী হোসেন, অধ্যাপক সোহেব আহমেদ, অধ্যাপক এবারত উল্যাহ, অধ্যাপক জাকির হোসেন, মাদ্রাসা শিক্ষক ফেডারেসনের নেতৃ তাছলিমা মুন্নি, অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, অধ্যাপক নূরুল আমিন, অধ্যাপক গোলাম সরোয়ার, অধ্যক্ষ হায়দার আলী।
মাধ্যমিক শিক্ষক নেতাদের মধ্যে ছিলেন বক্তব্যে রাখেন, মতলব উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষক নেতা মো.বিল্লাল হোসেন, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মো.মিজানুর রহমান, মাওলানা সালাউদ্দিন, প্রধান শিক্ষক মো. শাখাওয়াত হোসেন, মো. আলী আক্কস, আবদুল গনি, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, হিরেন্দ্র দেবনাথ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত বাকশিস ও মাধ্যমিক স্কুল সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
বক্তাগণ অবিলম্বে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন-ভাতা থেকে প্রতিমাসে ১০ শতাংশ কর্তনের গেজেট প্রকাশের প্রতিবাদ, সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মতো পূর্ণ বেতন-ভাতা, বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি, উৎসব ও বৈশাখী ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান এবং সব ধরণের বৈষম্য দূরীকরণ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
এছাড়াও ,শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন-ভাতা থেকে চার শতাংশ অবসর, দুই শতাংশ কল্যাণ ভাতার জন্য কেটে রাখা হতো। অথচ হঠাৎ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় গেজেট প্রকাশ করে জানিয়েছে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীরা অবসরের জন্য ছয় শতাংশ ও কল্যাণ ভাতার জন্য চার শতাংশসহ ১০ শতাংশ টাকা বেতন থেকে কেটে নেয়ার কথা জানান। শিক্ষকদের মর্যাদা যতটুকু প্রতিষ্ঠা পেয়েছে তা হয়েছে আন্দোলন-সংগ্রামে মাধ্যমে হয়েছে বলে জানায় এ শিক্ষক নেতাগণ।
শিক্ষক নেতারা হুশিঁয়ারী বক্তব্যে বলেন, সরকার আমাদের দাবিসমূহ বস্তবায়নে ব্যর্থ হলে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যেমে পরবর্তী বৃহত্তর কর্মসূচির আলোকে জাতীয় শিক্ষক কর্মচারী ফ্রন্ট চাঁদপুর জেলা শাখা পরবর্তী কর্মসূচি পালন করবে।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৩ জুলাই দাবির স্বপক্ষে-স্ব-স্ব উপজেলায় মিছিল ও ৩০ জুলাই জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে শিক্ষক কর্মচারী সমাবেশ অংশগ্রহণের জন্য আহবান জানানো হয়।
প্রতিবেদক- আবদুল গনি
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৮ : ৩৭ পিএম, ২০ জুলাই ২০১৭, বৃহস্পতিবার
এইউ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur